টানা ৪০ দিন জামাতে নামাজ পড়ায় মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় উপজেলার কাদিপুর এলাকার ১৪ কিশোরকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান কাজী মাওলানা ফজলুল হক খান সাহেদ।
শনিবার (১৩ জুলাই) বিকেলে কাদিপুর জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা জুবায়ের আহমদ জুবেল জানান, কিশোরদের জামাতে নামাজে উৎসাহিত করতে টানা ৪০দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সাথে আদায়ের শর্ত দেওয়া হয়। এতে সফল হয় ১৩ কিশোর। আর তাদের জন্য বৃহস্পতিবার বিকেলে এমন মহতি আয়োজন করে কাদিপুর ইসলামি যুব সংঘ নামে একটি অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অর্জনকারী ৩ কিশোরকে বাইসাইকেল উপহার এবং ১১ কিশোরকে আকর্ষণীয় পুরস্কার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে ওইদিন প্রবাসী ও হিফজ সম্পন্নকারীদের সংবর্ধনা প্রদান এবং খিদমাহ ব্লাড ব্যাংকের সহযোগিতায় দুই শতাধিক মানুষের বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করা হয়।
কাদিপুর জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি সেলিম আহমদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বজয়ী হাফেজ ক্বারী মাওলানা মুফতী মোহাম্মদ জাকারিয়া, কলরব শিল্পী হাফিজ ফখরুল ইসলাম ফুআজ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা চেয়ারমান কাজী মাওলানা ফজলুল হক খান সাহেদ বলেন, শিশু-কিশোরদের মুঠোফোন আসক্তি কমিয়ে জামাতে নামাজে আগ্রহী ও মসজিদমুখী করতে এই কর্মসূচি নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। কিশোর-তরুণরা যখন মসজিদমুখী হবে তখন সমাজ থেকে মাদকাসক্তিসহ অন্যান্য অপরাধ হ্রাস পাবে। কিশোরদের মুঠোফোন আসক্তি থেকে দূরে রাখতে এবং জামাতে নামাজের প্রতি মনোযোগি করতে এমন আয়োজন সমাজের মাঝে ভালো মেসেজ দিবে।
কাদিপুর জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি সেলিম আহমদ জানান, আমরা শিশু-কিশোরদের নামাজে আগ্রহী করতেই মূলত এমন উদ্যোগ নিয়েছি।
বাইসাইকেল পুরস্কার পাওয়া কিশোররা বলেন, ‘৪০ দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে আদায় করায় এখন মোটামুটি অভ্যস্ত হয়ে গেছি। শুধু পুরস্কার পাওয়ার আশায় নয়, মুসলমান হিসেবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে। জীবনের বাকি সময় যেন জামাতে নামাজ পড়তে পারি, সে জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কাদিপুর ইসলামী যুব সংঘের নেতৃবৃন্দ, মসজিদ কমিটির নেতৃবৃন্দসহ এলাকার নানা শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :