AB Bank
ঢাকা রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

কবি কুসুমকুমারী দাশ গৈলার মেয়ে


Ekushey Sangbad
শাহ আলম ডাকুয়া
০২:৪৭ পিএম, ১৬ জুলাই, ২০২৪
কবি কুসুমকুমারী দাশ গৈলার মেয়ে

                                   ‘আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে
                                      কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে?’

বিখ্যাত এই কবিতার কবি কুসুমকুমারী দাশ ১২৮২ বঙ্গাব্দের ২১ পৌষ বাখরগঞ্জ জেলার (বরিশাল) বর্তমান আগৈলঝাড়া উপজেলার “গৈলা” গ্রামের এক বিদ্যানুরাগী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা চন্দ্রনাথ দাশ এবং মাতা ধনমণি। তিনি ছিলেন বরিশালের লাকুটিয়া জমিদার বাড়ির পুত্রবধূ। কুসুমকুমারী দাশ বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি। 

তিনি খুব বেশি লেখালেখি করতে পারেননি। কিন্তু যেটুকু রেখে গেছেন তাতে তার প্রতিভার ছাপ সুস্পষ্ট। তার রচিত “আদর্শ ছেলে”, যার প্রথম চরণ “আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে”, বিভিন্ন পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সর্বাধিক পরিচিত।

দুই পুত্র এক কন্যাসন্তানের জননী ছিলেন তিনি। জ্যেষ্ঠ পুত্র কবি জীবনানন্দ দাশ। আরেক পুত্র অশোকানন্দ দাশ এবং কন্যা সুচরিতা দাশ। কুসুমকুমারী দাশের বাবা চন্দ্রনাথ দাশ কবিতা লিখতেন। জন্মসূত্রেই লেখার ক্ষমতা পেয়েছিলেন কুসুম কুমারী দাশ। তেমনি পেয়েছিলেন তার সুযোগ্য পুত্র জীবনানন্দ দাশ।

কুসুমকুমারী একটি পারিবারিক পরিমণ্ডল পেয়েছিলেন। বরিশাল ব্রাহ্মসমাজ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত মেয়েদের হাই স্কুলে তিনি ৪র্থ শ্রেণী পর্যন্ত পড়েন। এরপর বালিকাদের অভাবের জন্য স্কুলটি বন্ধ হয়ে গেলে কুসুমকুমারীকে তার বাবা কলকাতায়, রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের গৃহে রেখে বেথুন স্কুলে ভর্তি করেন। একবছর পর ব্রাহ্মবালিকা বোর্ডিংয়ে লাবণ্যপ্রভা বসুর তত্ত্বাবধানে পড়াশোনা করেন। প্রবেশিকা শ্রেণীতে পড়ার সময়েই ১৮৯৪ সালে তার বিয়ে হয় বরিশালের ব্রজমোহন ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক সত্যানন্দ দাশের সঙ্গে। 

কুসুমকুমারী দাশ

তারই অনুপ্রেরণায় কুসুমকুমারী সাহিত্য চর্চা চালিয়ে যান। বরিশালের ব্রাহ্মসমাজের সভা-উৎসব-অনুষ্ঠানে কুসুমকুমারী যোগদান করতেন। তিনি ১৩১৯ থেকে ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত প্রায় প্রতি বছরই, বরিশাল ছাত্র সংঘের সপ্তাহকালব্যাপী মাঘ-উৎসবের মহিলা দিবসের উপাসনায় আচার্যের কাজ করেছেন।

 বয়স বাড়ার সাথে সাথে এমন একটি স্বাভাবিক মর্যাদার অধিকারিণী হয়েছিলেন যে, শুধু মহিলাদের উৎসবে নয়, ব্রাহ্মসমাজের সাধারণ সভাতেও তিনি আচার্যের কর্মভার কাজ করেছেন।
তিনি বরিশাল মহিলা সভার সম্পাদক ছিলেন ।

একুশে সংবাদ/উকি./ এসএডি
 

Link copied!