রাজশাহীর বাঘায় স্ত্রীর আত্মহত্যার তিনদিন পর আত্মহত্যা করেছেন জারমান আলী (২০) নামের এক যুবক।
আজ মঙ্গলবার উপজেলার আড়ানী ইউনিয়নের ঝিনা মধ্যপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ির পাশে আমবাগান তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত জারমান আলী একই গ্রামের নওশাদ আলীর ছেলে। তার স্ত্রী সাগরিকা খাতুন (১৮) নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার নওশারা-ঘোরলাজ গ্রামের আবদুল গাফফার আলীর মেয়ে।
জানা গেছে, দেড় মাস আগে সাগরিকার সঙ্গে বিয়ে হয় জারমান আলীর। তবে বিয়ের পর থেকে তাদের দাম্পত্য জীবন ভালো যাচ্ছিল না। শুক্রবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে ঝিনা বাজারে যায় জারমান আলী। বাজার থেকে রাত ৮টার দিকে ফিরে এসে দেখেন ঘরের দরজা ভেতর থেকে আটকানো। পরে ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙে ফেলেন। এসময় সাগরিকা খাতুনকে তিনি গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পান। পরে উদ্ধার করে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় সাগরিকার বাবা গাফফার আলী বাদী হয়ে জারমান আলী ও তার বাবা নওশাদ আলী, মা সানোয়ারা বেগম এবং ছোট মা বুলুয়ারা বেগমকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় শনিবার (১৩ জুলাই) নওশাদ আলী ও বুলুয়ারা বেগমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে পলাতক ছিলেন জারমান আলী। মঙ্গলবার নিজ বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে আমবাগানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন জারমান আলী।
বাঘা থানার ভারাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, বিয়ের দেড় মাস না হতেই কারণে-অকারণে স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন জারমান আলী। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেন তার স্ত্রী। ধারণা করা হচ্ছে, মামলার ভয়ে আত্মহত্যা করেছেন জারমান আলী।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :