নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ৮২৬ জন বন্দীর মধ্যে আজ ১৯০ জনসহ মোট ৩৩১ বন্দী আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।
এদিকে দুর্বৃত্তের হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ নরসিংদী জেলা কারাগার পরিদর্শন করেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। বুধবার (২৪ জুলাই) দুপুরে তিনি কারগার পরিদর্শন করেন।
নরসিংদী কারাগারে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, অস্ত্র লুট ও আসামিদের বের করে নেওয়ার ঘটনার পাঁচ দিন পর সেনাপ্রধান এ কারাগার পরিদর্শন করেন।
এর আগে হেলিকপ্টার যোগে নরসিংদী মুছলেহ উদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়ামে অবতরণ করেন সেনাপ্রধান। পরে তিনি দুপুর ১টা ২০ মিনিটে নরসিংদী জেলা কারাগার পরিদর্শন করেন। এ সময় নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানসহ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দেশে চলমান সহিংষতার মধ্যে দুর্বৃত্তরা শুক্রবার বিকালে নরসিংদী জেলা কারাগারে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, অস্ত্র ও গুলি লুট করে ৮২৬ আসামী ছেড়ে দেয়। এরই মধ্যে সোমবার জেলা প্রশাসন কারাগর থেকে পলায়নকারী সকল কারাবন্দীকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ প্রদান করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন। এরই প্রেক্ষিতে কয়েদিরা আইনজীবিদের মাধ্যমে কারাগারে আত্মসমর্পণ করে। বুধবার পর্যন্ত নরসিংদী আদালতে ৩৩১ জন কয়েদী আত্মসমর্পণ করেছে। আর পুলিশ কারাগার থেকে লুট হওয়া ৩৯টি অন্ত্র ও ১১০০ গুলি উদ্ধার করেছে।
নরসিংদী জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি এ্যাড. কাজী নাজমুল ইসলাম বলেন, কয়েদীরা আইনজীবীদের মাধ্যমেই কারাগারে থাকে। ঘটনার পর থেকেই আইনজীবিরা কয়েদীর সাথে যোগাযোগ করে আইনের আশ্রয়ে নিয়ে আসার জন্য কাজ করছে। আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে তারা আত্মসমর্পণ করছে। আমরা আশাবাদী ধীরে ধীরে আরো কয়েদীরা আত্মসমর্পণ করবে।
নরসিংদীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, চলমান সহিংসহতার ঘটনায় জেলার বিভিন্ন থানায় পৃথক ৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। কারাগারে হামলার ঘটনায় সাবেক জেলার কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে ২টি মামলা দায়ের করেছেন। বুধবার নাশকতার ঘটনায় অভিযান চালিয়ে ২৭ জনকে গ্রেপ্তার ও ৩৯টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম জানান, বুধবার নরসিংদী কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ১৯০ কয়েদী আদালতের মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করেছে। এনিয়ে পালিয়ে যাওয়া ৩৩১ কয়েদী আত্মসমর্পণ করেছে। বর্তমানে কারাগারে নিরাপত্তায় বিজিবি ক্যাম্প নিয়োজিত রয়েছে। আর জেলার প্রতিটি ইউনিয়নের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মাইকিং করা হচ্ছে যেনো কয়েদীরা নিকটস্থ থানা, কারাগার বা আদালতে আত্মসমর্পণ করে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :