মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় ধলেশ্বরী নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় পিকনিকের ট্রলারডুবির দুই দিন পর নিখোঁজ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে ঘটনার দিন একজনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে ৩ জনের মৃত্যু হলো।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাস্থলের অর্ধ কিলোমিটার দূরে দুজনের মরদেহ ভেসে ওঠে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাঁদের মরদেহ উদ্ধার করেন।
এর আগে মঙ্গলবার ঘিওরের কুসুন্ডা এলাকার ধলেশ্বরী নদীতে একটি বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নিহতরা হলো- সাটুরিয়া উপজেলার কামতা গ্রামের দানেজ আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪৫), একই উপজেলার উত্তর কাউন্নরা গ্রামের মৃত সেলিমের ছেলে রাসেল (১৪) ও সাটুরিয়া উপজেলার কামতা গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে মিলন হোসেন (১৫)। সে উপজেলার জান্না আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সাটুরিয়ার গোলড়া কামতা এলাকার ৬০ জন স্থানীয় বাসিন্দারা বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায় নৌ ভ্রমণে যান। নৌ ভ্রমণ থেকে ফেরার পথে ওইদিন রাত ১২টার পর ঘিওরের কুসুন্ডা এলাকার ধলেশ্বরী নদীতে একটি বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে যাত্রীবাহী ওই ট্রলারটি ডুবে যায়। এ সময় ট্রলারে থাকা ৬০ জন যাত্রীর মধ্যে ৫৮ জন সাঁতরে নদীর তীর উঠতে সক্ষম হলেও দুজন নিখোঁজ হন। ট্রলার ডুবে যাওয়ার সময় প্রাণে বাঁচতে নদীতে ঝাঁপ দেয় মিলন হোসেন। পরে সাঁতরে নদীর তীর ওঠার পর তাঁকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া পথে তার মৃত্যু হয়।
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস জানান, মঙ্গলবার রাতে পিকনিকের ট্রলারডুবির ঘটনায় ওইদিনই মিলন নামে একজন মারা যান। ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধারের সময় আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিখোঁজ দুজনের মরদেহ ভেসে ওঠে। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
একুশে সংবাদ/ই.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :