বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহকরা অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিল হাতে পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। মোরেলগঞ্জ জোনাল অফিসের দেয়া তথ্যমতে বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন এখানে ৮৭ হাজার মিটার রয়েছে। উপজেলায় ২ হাজার ৩ শত কিলোমিটার জুড়ে বিদ্যুৎ লাইন রয়েছে।
সরেজমিনে প্রতিদিন মোরেলগঞ্জ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারের কক্ষে গ্রাহকদের ভিড় দেখা যায় বিদ্যুত বিলের অভিযোগ নিয়ে।
স্থানীয়রা কয়েকজন জানায়, গত কয়েক মাস মোরেলগঞ্জ উপজেলার কোনো বাড়িতেই পল্লী বিদ্যুতের মিটারের রিডিংয়ের সাথে বিলের কোন মিল নেই। পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ তাদের মনগড়াভাবে অসংখ্য গ্রাহকের বিল তৈরি করেছেন।
মিটারে রিডিং কম থাকলেও বিলের কাগজে তা বেশি লিখে গ্রাহকদের হাতে বিল ধরিয়ে দেয়া হয়েছে বলে গ্রাহকদের অভিযোগ।
মোরেলগঞ্জ অফিসে অভিযোগ নিয়ে আসা খাওলিয়া ইউনিয়ের বাসিন্দা জামাল তালুকদার বলেন, আমি একজন ভ্যান শ্রমিক, আমার নামে আগে স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতি মাসে বিদ্যুৎ বিল আসত ৫শ` থেকে ৬শ` টাকা। অথচ এই মাসে অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে বিল এসেছে ৩ হাজার ২শ টাকা। এমনিতেই পরিবার নিয়ে চলতে কষ্ট হয়, এতো টাকা কিভাবে দেবো।
মোরেলগঞ্জের দৈনিক পূর্বাঞ্চলের প্রতিনিধি সাংবাদিক এম পলাশ শরীফ জানান, তার বাসার আবাসিক মিটার রিডিংয়ের সাথে বিলের কোন মিল নেই, এ রকম ভুল তারা কিভাবে করে জানি না। এ যেন এক ভৌতিক কাণ্ড।
বারইখালী এলাকার বিদ্যুৎ গ্রাহক মো. খলিলুর রহমান বলেন, তার প্রতিমাসে বিল আসত এক থেকে দেড় হাজার টাকা। জুন মাসে বিল এসেছে ২৮০০ টাকা।
খোজ নিয়ে জানা যায় সম্প্রতি এভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন মোরেলগঞ্জের একাধিক সাধারণ গ্রাহক। ফলে পল্লী বিদ্যুতের দায়িত্বশীল কর্মচারীদের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন কেউ কেউ।
মিটারের সঙ্গে বিলের কাগজে লেখা রিডিংয়ে গড়মিল নিয়ে মোরেলগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম ওয়াদুদ খন্দকার বলেন, বিদ্যুতের মিটার রিডিং যারা লিখে আনেন তারা হয়তো ভুল লিখে আনেন, সামনের মাসগুলোতে ক্রমান্নয়ে এ সব সমন্বয় করে দেয়া হবে, তবে যে কোনো সমস্যা আমাদের জানালে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করবো।
একুশে সংবাদ/ফা.হ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :