নরসিংদী কারাগারে হামলার ঘটনায় সরাসরি জড়িত মো. আরিফুল ইসলাম ও মো. শফিক নামের দুজনকে লুট হওয়া অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৩০ জুলাই শিবপুর উপজেলার কারারচর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
গ্রেফতাররা জেলা কারাগারে হামলা ও অস্ত্র লুটের পর সেসব অস্ত্র দিয়ে পুলিশের ওপর গুলি করার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন নরসিংদীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান। ১ আগস্ট দুপুরে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার।
গ্রেফতাররা হলেন: ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার কামারগাঁও গ্রামের আবু বক্কর ছিদ্দিকের ছেলে ও নরসিংদী সদরের টাউয়াদী এলাকার ভাড়াটিয়া মো. আরিফুল ইসলাম (২১) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফেরাইজাকান্দি এলাকার মরম আলীর ছেলে মো. শফিক (২৪)।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, জেলা কারাগারে হামলার ঘটনায় সরাসরি জড়িত মো. আরিফুল ইসলাম ও মো. শফিক অস্ত্র লুটের পর সেসব অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে পুলিশের ওপর গুলি করে। কতিপয় বিএনপি ও জামায়াত নেতার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্দেশে কারাগারে হামলা ও অস্ত্র লুটসহ পুলিশের ওপর হামলার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকরোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেফতার হওয়া আরিফুল ও শফিক।
পুলিশ সুপার আরও জানান, ‘হামলার পরপর হাইয়েস গাড়িতে করে পালিয়ে যায় জঙ্গিরা’ এমন শিরোনামে ফুটেজসহ কয়েকটি গণমাধ্যমে খবর প্রচার হয়, যা ছিল সম্পূর্ণ ভুল। এসব গাড়ি বিয়ের বরযাত্রীবাহী গাড়ি ছিল। পুলিশি তদন্তে সব তথ্য বের হয়ে এসেছে।
এছাড়া নরসিংদী জেলা কারাগারসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় আরও দুটি মামলা হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ১৩টি মামলায় ২৭৫ জনকে গ্রেফতার ও কারাগার থেকে লুট হওয়া ৮৫ অস্ত্রের মধ্যে ৫০টি অস্ত্র উদ্ধার ছাড়াও জেল পলাতক ৫৯৮ কয়েদি আত্মসমর্পণ করেছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :