বরগুনার আমতলীতে বন্যা জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষার জন্য নির্মিত পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যানিয়ন্ত্রন বেঁড়ি বাধ কেটে দেওয়ায় আতংকের মধ্যে জীবন যাপন করছেন উপজেলার উত্তর রাওঘা গ্রামের ২ শতাধিক পরিবার।
জানা গেছে, হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মো. সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন লোক শুক্রবার বিকালে ও শনিবার (৩ আগস্ট) সকালে বন্যানিয়ন্ত্রন বাঁধ কেটে দেন বিলের পানি সরানোর জন্য। বাঁধ কেটে দেওয়ায় চরম আতংকের মধ্যে জীবন যাপন করছেন রাওঘা গ্রামের ২ শতাধিক পরিবার। জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়ে যায় তাদের বাড়ীঘর। বন্যা বা জলোচ্ছ্বাস হলে তাদের পানিতে ডুবে মরতে হবে বলে জনান গ্রামের বাসিন্ধারা।
স্থানীয় ইউছুফ প্যাদা বলেন, সিদ্দিক মেম্বর গায়ের জোরে আমার বাড়ীর পাশে দিয়ে সরকারী বেঁড়িবাধ কেটে দিয়েছে। আমার বাড়িঘর, মুরগির খামার জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। এই বাঁধ কাটায় উত্তর রাওঘার ২ শতাধিক পরিবার নদীর জেয়ারের পানি ও জলোচ্ছ্বাস তলিয়ে যাবে। আমাদের বাচার কোন উপায় থাকবেনা।
ইউছুফ প্যাদা আরো বলেন, বাঁধ কাটতে বাঁধা দেওয়ায় সিদ্দিক মেম্বর আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে। আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
সাবেক ইউপি সদস্য সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বর্ষায় আমাদের বীজতলা তলিয়ে গেছে তাই বেড়ি বাধ কেটে দিয়েছি।
বর্তমান ইউপি সদস্য মো. মতিয়ার রহমান বলেন, যে কেউ ইচ্ছা করলেই সরকারী এই বেঁড়িবাধ কাটতে পারেনা। আমি বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানিয়েছি। এখন চরম ঝুকির মধ্যে পড়েছে ওই গ্রামের লোকজন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ- সহকারী প্রকৌশলী মো.নাজমুল হাসান বলেন, সরেজমিন তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো.আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক বলেন, সরকারী বেঁড়িবাধ সরকারের অনুমতি ব্যতিত কেউ কাটতে পারেনা। কেউ বেঁড়িবাধ কাটলে তা অবৈধভাবে কাটছে। এতে ওই গ্রামের শতশত মানুষ বন্যা জলোচ্ছ্বাসের ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবে।
আমতলী উপজেলার সহকারী কমিশনার ভুুমি তারেক হাসান বলেন, সরকারী বেঁড়ি বাধ কাটলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একুশে সংবাদ/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :