নড়াইলে পুলিশ ও সরকারদলীয় সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এছাড়া পুলিশ, সাংবাদিকসহ অন্তত শতাধিক আহত হয়েছেন।
রোববার (৪ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে নগরী নাকশী মাদ্রাসা বাজার এলাকায় জড়ো হন আন্দোলনকারীরা। এতে যোগ দেয় জেলা বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা। সেখানে অবস্থান কর্মসূচি শেষে বিক্ষোভকারীরা শহরে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়।
পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে মালিবাগ সেতুতে বিক্ষোভকারীরা পৌঁছালে সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা বিপরীত দিক থেকে ধাওয়া দেয়। কয়েক দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে ঘন্টাব্যাপী। পুলিশ ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। এ সময় ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি ও ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ায় সাংবাদিক, পুলিশসহ দুপক্ষের শতাধিক আহত হন। গুলিবিদ্ধ হন নড়াইল সদরের ৪ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নাহিয়ান প্রিন্স। তাকেসহ অন্য আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতা দাবি করেছেন, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত মিলিত হয়ে হামলা চালিয়েছে। তাদের গুলিতে আমাদের একজন আহত হয়েছেন।
পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিলেও ঢাকা-বেনাপোল মহাসড়ক এখনো অবরুদ্ধ করে রেখেছেন আন্দোলনকারীরা। দুপুর দেড়টার দিকে আন্দোলনকারীরা মালিবাগ সড়কে অবস্থান নিয়ে পুলিশ বক্স ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া একটি যাত্রীবাহী প্রাইভেট কার ভাঙচুর করেন তারা। পরে সোয়া ২টার দিকে নাকশী বাজার এলাকায় পুলিশের গাড়িতে আগুন দেয়।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, সকালে আন্দোলন শান্তিপূর্ণ থাকলেও পরবর্তীতে বিক্ষোভকারীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শহরের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। এ সময় তারা পুলিশের ওপর হামলা চালালে টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করা হয়। তবে হতাহতের কোন খবর আমাদের জানা নাই।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :