শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার সংবাদ ছড়িয়ে পড়তেই গতকাল সোমবার চাঁপাইনবাবগঞ্জজুড়ে শুরু হয় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট। শহরের নতুন বাস টার্মিনাল এলাকায় ভিডিও তথ্য সংগ্রহের সময় যমুনা টেলিভিশন ও বৈশাখী টেলিভিশনের প্রতিবেদকসহ ৮/১০ রোশানলে পড়েন এবং লাঞ্ছিত হন।
এদিকে আগুনে পুড়েছে সদর আসনের এমপি আব্দুল ওদুদসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। ভাঙচুর করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু মঞ্চ ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিসহ নানা সরকারি-বেসরকারি কার্যালয়। দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে।
বিকেলে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদের পেট্রল পাম্প, পাঠানপাড়ার রাজনৈতিক কার্যালয়, হুজরাপুরের বাসভবনে ভাংচুর অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়েছে। আগুন দেওয়া হয় পৌর মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা মোখলেসুর রহমানের গ্রামীণ ট্রাভেলসের গ্যারেজে। সেখানে থাকা দুটি এসি বাস পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তার বটতলাহাটের বাড়ি ও জোসনারা পার্কে ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। পুলিশ সুপার কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও আগুন দেয়া হয়। সেখানে ৬টি পিকাপ গাড়ী ও ২০/২৫ টি মোটরসাইকেল পুড়ে গেছে।
সন্ধ্যা লাগার সাথে সাথে ঘেরাও করা হয় পুলিশ সুপার কার্যালয়। এসময় পুলিশ সুপার ছায়েদুল হাসানসহ অফিসে থাকা পুলিশ সদস্যরা আটকা পড়ে৷ এসময় জীবন বাঁচতে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে পুলিশ। এতে ৪ জন গুরুতর আহত হলে তাদের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে। পরে ১১টার দিকে চিকিৎসা খরচ হিসেবে ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে মুক্ত হন তারা।
এর আগে জেলা প্রশাসকের বাস ভবনে লুটপাট চালানো হয়।
এর আগে বিকেলে সদর মডেল থানাতেও হামলা চালানো হয়। সন্ধ্যার আগে জেলা পরিষদে আগুন দেওয়া হয়। সেখানে কয়েকটি গাড়ি পুড়ে গেছে জেলা পরিষদের বিভিন্ন মালামাল লুট করে নেওয়া হয়। শহরের স্বরুপনগরে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি রুহুল আমিনের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। আদালতের মালখানা থেকে লুট করা হয় মাদকদ্রব্য ও মোটরসাইকেল। বিশ্বরোড মোড় ও মার্কেট চত্তরে থাকা বঙ্গবন্ধুর দুটি প্রতিকৃতি ভাঙচুর করা হয়। শিবগঞ্জে সাবেক সচিব জিল্লার রহমান ও ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি নুরুল ইসলামের বাড়ি ও জিকে ফাউন্ডেশনের ভাংচুর অগ্নিসংযোগ করা হয়।
এছাড়া নাচোল গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট উপজেলাতে চলে ভাংচুর অগ্নসংযোগ ও লুটপাট।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :