গত ১১আগষ্ট রোববার রাতে কালিয়াকৈর থানায় যোগদান করেন কালিয়াকৈর থানা পুলিশ। অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এএফএম নাসিমের নেতৃত্বে কালিয়াকৈর থানার সকল পুলিশ সদস্য গন রোববার দিবাগত রাত নয়টার দিকে থানায় এসে পৌঁছান। তাদের আগমনের খবর প্রচারের সাথে সাথে কালিয়াকৈরের বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা পুলিশের সাথে গিয়ে দেখা করেন।
সোমবার সকালে উপজেলা ও পৌর বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটের নেতা কর্মী থানায় আসেন এবং মত বিনিময় করেন। এসময় উপজেলা বিএনপির সভাপতি (ভিপি)হেলাল উদ্দিন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করার অঙ্গীকার করেন। তিনি বলেন, পুলিশ কোন মহলের দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে আইনের মধ্যে থেকে জনগণের সেবা প্রদান করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ সময় গণ অধিকার পরিষদের গাজীপুর জেলার আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক পাঠান আজহার ও উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমাতে শেখ হাসিনার সরকার আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে ছাত্র সমাজের উপর অতিমাত্রায় বলপ্রয়োগ করে এবং পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালিয়ে শত শত আন্দোলন কারী কে হত্যার অভিযোগ উঠে।এর প্রতিবাদে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলন ও ৫ আগস্ট ঢাকায় লং মার্চ সহ ১ দফা ঘোষণা দেন। এর ফলে ছাত্র জনতার অংশগ্রহণে ঢাকায় লাখো মানুষের ঢল নামে এবং সারাদেশের ন্যায় কালিয়াকৈরে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে আন্দোলনকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ ,অগ্নিসংযোগ, থানা ও ফায়ার সার্ভিস ভাংচুরসহ সফিপুরে আনসার ও ভিডিপি একাডেমিতে হামলা চালায় এতে আনসার সদস্যরা গুলি চালালে ছয়জন নিহত ও বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এ দিকে আন্দোলনরত আরেকটি গ্রুপ কালিয়াকৈর থানা ও উপজেলা পরিষদে ব্যাপক হামলা ও ভাঙচুর চালালে পুলিশ ও তাদের লক্ষ্য করে অসংখ্য টিয়ার শেল রাবার বুলেট ও ছররা গুলি ছুড়ে এতে অসংখ্য আন্দোলনকারী ও শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন।অবস্থা বেগতিক দেখে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ ৪ আগষ্ট রাতে থানা ফেলে চলে যায়।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :