শেখ হাসিনা কর্তৃক ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালিয়ে গণহত্যা এবং খুনের ঘটনার জড়িতদের বিচারের দাবিতে বান্দরবান জেলা সহ বিভিন্ন উপজেলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি`র উদ্যোগে অবস্থান কর্মসূচি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। অন্যদিকে জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগকে ১৫ আগষ্টকে ঘিরে রাজপথে দেখা যায় নি।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগষ্ট) বিকাল ৩ ঘটিকার সময় বান্দরবান বাজারে ও আলীকদম বাজারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
দ্বিতীয় দিনের মত বান্দরবান জেলা বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রেজার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি মিসেস মাম্যাচিং।
এদিকে আলীকদম উপজেলা বিএনপি আহব্বায়ক মাশুক আহমেদ এর সভাপতিত্বে ও যুগ্ন আহবায়ক মনসুর আলম এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সিঃ যুগ্ন আহব্বায়ক জুলফিকার আলী ভুট্টো।
বান্দরবানের অবস্থান কর্মসূচিতে সহসভাপতি লিটন বিশ্বাস, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন তুষার, জেলা যুবদলের সভাপতি জহির উদ্দিন মাসুমসহ জেলার শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আলীকদমের অবস্থান কর্মসূচীতে সদর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি মোঃ আবুল কালাম,নয়াপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ ফরিদুল আলম,চৈক্ষ্যং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুরুল ইসলাম ,উপজেলা যুব দলের সভাপতি মোঃ ইলিয়াস মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মারুফ উদ্দিন,উপজেলা ছাত্রদলের আহব্বায়ক নুরুচ্ছাফা ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক মো: সাদ্দাম
উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি মীর কাসেমসহ উপজেলা, ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন,দীর্ঘ ১৫ বছর ফ্যাসিবাদী আওয়ামীলীগ সরকার কর্তৃক গুম,খুন,হত্যা ও ব্যাপক দুর্নীতি অনিয়ম শীর্ষে পৌঁছে গেছে। তারা দেশের সকল স্তরে দলীয় করণ করেছে। স্বৈরাচারি শাসক খুনি শেখ হাসিনাকে ছাত্র- জনতার তুমুল আন্দোলনের তোপের মুখে দেশে থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। আজ ভারতে বসেও সে ভিন্ন অপকর্মের পরিকল্পনা করে যাচ্ছে।
তারা আরও বলেন,স্বৈরাচারি সরকার শেখ হাসিনাকে দ্রুত সময়ে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে বিচারে আওতায় আনার জোর দাবি জানিছেন । বিগত সময়ে আন্দোলনে ছাত্র জনতার পাশে থেকে এই দেশকে যে ভাবে ২য় বারের মত স্বাধীন করেছি। আগামীতেও যে কোন পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ শক্তিত ঝাঁপিয়ে পড়ব।। এ সময় গুম, খুন ও হত্যার আদেশ দেওয়া ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানান বক্তারা।
উল্লেখ্য, শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে জেলা ও উপজেলার অধিকাংশ নেতারা আত্মগোপনে চলে গেছেন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :