আগেই বুঝতে পেয়ে যান মানববন্ধনের কথা তাই রাতেই গোপনে পদত্যাগ করেন মাদ্রাসার সভাপতির পদ থেকে। এমনটিই ঘটেছে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা উপজেলার গজঘণ্টা ইউনিয়নে। অভিযুক্ত ঐ ব্যক্তির নাম লিয়াকত আলী তিনি নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রাপ্ত ওই ইউনিয়ন পরিষদের একজন ইউপি চেয়ারম্যান।
জানা যায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বাধা প্রদান ও তৎকালীন সরকারের প্রভাব খাটিয়ে অসংখ্য পরিবারের উপর পুলিশি নির্যাতনের মদদদাতা ছিলেন লিয়াকত। এদিকে তিনি ঐ উপজেলার রাজবল্লভ দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি ছিলেন। যার প্রভাব খাঁটিয়ে মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্যসহ, অর্থ আত্মসাৎও করত তিনি।
দলীয় ক্ষমতা থাকা কোনোভাবেই থামানো যেত না তাকে। প্রতিবাদ করলেই তার উপর হত নানা নির্যাতন। এদিকে তার এই কাজে সহযোগীতা করতো ওলামা লীগের নেতা ও ঐ মাদ্রাসার সুপার নুর মোহাম্মদ মানিক।
এদিকে সরকার পতনের পরপরই যেন শক্তি খুঁজে পান সেখানকার সাধারণ মানুষ। যার সুযোগ নিয়ে অভিযুক্তদের পদত্যাগ ও শাস্তির দাবিতে রবিবার মানববন্ধন কর্মসূচির প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন স্থানীয় মানুষজন।
তবে মানববন্ধনের জন্য ব্যানার-ফ্যাস্টুন তৈরী করা হলেও পালন হয়নি কর্মসূচি। রাতেই খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে গোপনে পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করেন লিয়াকত।
এলাকাবাসী জানান, ইউপি চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মানুষের উপর যেসব নির্যাতন করেছে তা ক্ষমাযোগ্য নয়। অতিদ্রুত তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এ বিষয়ে লিয়াকত আলী বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে সভাপতি ছিলাম, আর হতে চাইনি, মাদ্রাসার সুপার আমাকে জোরপূর্বক সভাপতি করেছেন।
উক্ত বিষয়ে রাজবল্লভ দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট বলেন, আমি এ পদত্যাগের বিষয়ে অবগত ছিলাম না পরবর্তীতে জানতে পারি, উনি আওয়ামী লীগের নেতা হওয়ায় এলাকা তাকে চাচ্ছেন না।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :