কালীগঞ্জে যুবদল কর্মীকে হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ মহিলা আ’লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকিসহ সাবেক দুই উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত বুধবার (২১ আগষ্ট) কালীগঞ্জ থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বাবলু বাদী হয়ে এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে হামলার ঘটনায় ইসমাঈল হোসেন বাদী হয়ে অন্য আরেকটি মামলা করেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, সাবেক প্রতিমন্ত্রি চুমকিসহ তার এপিএস মাজেদুল ইসলাম সেলিম, সদ্য অপসারিত পৌর মেয়র এস এম রবীন হোসেন ও উপজেলা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন স্বপন এবং অপর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন পলাশসহ ৪০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। কালীগঞ্জ থানার মামলা নং-৪(৮)২৪।
এজাহারে আরোও উল্লেখ করা হয় ২০১১ সালে ৭ মে বিএনপি’র সাবেক এমপি ফজলুল হক মিলনের বাড়িতে যুবদলের সমাবেশে যোগ দিতে বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা ট্রলারে করে যাচ্ছিলেন। সে সময় শীতলক্ষ্যা নদীতে কালীগঞ্জ গোদারা ঘাট এলাকায় পৌছলে আ’লীগের নেতা-কর্মীরা যুবদল কর্মীদের ট্রলারে অতর্কিতে হামলা চালায়। হামলায় ট্রলারে থাকা শতাধিক যুবদল নেতা-কর্মী আহত হয় এবং জামির হোসেন (৪০) ও নাঈম হোসেন (২০) কে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেয়।
নিহত যুবদল কর্মী জামির হোসেন পৌর সভার চৈতরপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের পূত্র এবং নাঈম হোসেন নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ফিরিন্দা টেকপাড়া এলাকার আব্দুস সালামের পূত্র। এর আগে এঘটনায় ২০১১ সালে যুবদল নেতা নাদিম আহমেদ বাদী হয়ে ১৬ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন।
অপর দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে হামলার ঘটনায় মামলায় ৬৫ জনকে আসামী করে মামলা হয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগষ্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে টঙ্গী-সিলেট ভায়া কালীগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের মোড়ল মার্কেট এলাকায় অবস্থান নিলে সাবেক প্রতিমন্ত্রি চুমকির নির্দেশে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার মিছিলে দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আ’লীগের নেতা কর্মীরা হামলা চালায়। ঘটনায় ছাত্র-জনতার অনেকে গুরুতর আহত হয়। হামলাকারীরা এসময় সড়কে থাকা দুটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে। এঘটনায় ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। কালীগঞ্জ থানার মামলা নং-৫(৮)২৪।
এবিষয়ে জানতে চাইলে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহতাব উদ্দিন মামলার সত্যতা স্বীকার করে প্রতিবেদককে বলেন, হত্যা ও হামলার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :