AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

নিহত কেন্দুয়ার দুই ব্যক্তির পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিল প্রশাসন


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
১২:৫১ পিএম, ২৪ আগস্ট, ২০২৪
নিহত কেন্দুয়ার দুই ব্যক্তির পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিল প্রশাসন

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকার উত্তরা ও গাজীপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়া কেন্দুয়া উপজেলার দুই ব্যক্তির পরিবারকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। 

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমদাদুল হক তালুকদার তাঁর কার্যালয়ে নিহত দুই ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের হাতে আর্থিক সহায়তা বাবদ প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকার চেক তুলে দেন। এ সময় উপজেলা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. আজিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

 ঢাকার উত্তরা আজমপুর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে উপজেলার মোজাফরপুর ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া গ্রামের আসন আলীর ছেলে আলী হোসেনের (৪৫) পক্ষে তার স্ত্রী এবং গাজীপুরের বাসন থানা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত উপজেলার দলপা ইউনিয়নের ভূঁইয়াপাড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে জিন্নাতুল ইসলাম খোকনের (২৫) পক্ষে তার বোন আর্থিক সহায়তার চেক গ্রহণ করেন। 

পরিবার ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার উত্তরা আজমপুর রেলস্টেশন এলাকায় রাস্তার পাশে বসে পান সিগারেট বিক্রি করতেন আলী হোসেন। গত ১৮ জুলাই দুপুরে তিনি নিখোঁজ হন। পরে উত্তরার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে পরিবারের লোকজন আলী হোসেনের গুলিবিদ্ধ মরদেহের সন্ধান পান। আলী হোসেন তার স্ত্রীকে নিয়ে উত্তরা মুন্সি মার্কেট এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। তিনি রাস্তায় বিক্রি করতেন পান সিগারেট এবং তার স্ত্রী কাজ করতেন মানুষের বাসাবাড়িতে। ঋণগ্রস্ত হয়ে ওই ঋণ পরিশোধ করতে এবং পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা আনতে গ্রামের বাড়িতে বৃদ্ধ মায়ের কাছে তিন শিশুকন্যাকে রেখে তিনি স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় গিয়েছিলেন।

অপরদিকে গত ৫ আগস্ট দুপুরে গাজীপুরের বাসন থানা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন জিন্নাতুল ইসলাম খোকন। পরে জয়দেবপুর সদর হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হলে ওইদিন রাতেই সেখানে মারা যান তিনি। গাজীপুরের নাউজুর হোসেন মার্কেট এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় পরিবারের সাথে বসবাস করতেন খোকন। তিনি সেখানে বালুর গাড়িতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। কিন্তু ছাত্র আন্দোলনের কারণে কাজ বন্ধ থাকায় তিনি আন্দোলনে যোগ দেন এবং ঘটনার দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে পরে হাসপাতালে মারা যান। বছরখানেক আগে বিয়ে করেছিলেন খোকন। তার স্ত্রী নয় মাসের অন্তঃস্বত্তা বলে জানায় তার পরিবারের লোকজন।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!