বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকারের পতন হলে বিভক্ত কালীগঞ্জ থানা বিএনপি এখন ঐক্যবদ্ধ। বিগত দিনে দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে কর্মপরিকল্পনা হীন ভাবে চলছিল দলটি। জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতেও তারা আলাদা আলাদা কর্মসূচি পালন করছিল। এনিয়ে দলের তৃণমূলের নেতা কর্মীদের মাঝে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছিল।
দলটির সাংগঠনিক কর্মকান্ড নিয়ে কয়েকজন শীর্ষ নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিগত বছরে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌর ও থানা পর্যায়ে নতুন কমিটিতে ত্যাগী নেতা কর্মীদের স্থান না দিয়ে পছন্দের লোকদের পদ পদবী দিয়ে কমিটি গঠন করায় দলে বিভাজন তৈরি হয়। তিনি আরোও বলেন, এই অনৈক্যের কারণে উপজেলা সদরে বিএনপি`র তেমন কোন কর্মসূচী নজরে পরেনি এক যুগ ধরে।
দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে গত ২১ আগষ্ট রাতে ঢাকায় সাবেক এমপি.ফজলুল হক মিলন’র ব্যক্তিগত অফিসে দুপক্ষের মধ্যে এক রুদ্ধধার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উভয় পক্ষের আলোচনার পর বিভিক্ত কর্মীদের মাঝে ঐক্য ফিরে আসে বলে একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়। এসময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি’র সভাপতি এ.কে.এম ফজলুল হক মিলন, জেলা বিএনপি’র সহ সভাপতি আশরাফী হাবিবুল্লাহ খোকা, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম, থানা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন শাওন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদ আহম্মেদ মৃধা, দপ্তর সম্পাদক এ্যাড. নাজমুল হক চেীধুরী বিপ্লব, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছোলাইমান আলম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান খান লাভলু, জেলা যুব দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানাসহ প্রমুখ।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বৈঠকের একাংশের নেতা গাজীপুর জেলা যুব দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা প্রতিবেদককে জানান, ছাত্র জনতার রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর দেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার লক্ষ্যে জনগণের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিতে হবে। বৈঠকে দলের বৃহৎ স্বার্থে আভ্যন্তরীন কোন্দল মিটিয়ে বিভাজন দুর করে আমরা সবাই কালীগঞ্জের গণমানুষের কল্যাণে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করব।
সাবেক এম.পি ও গাজীপুর জেলা বিএনপি’র সভাপতি এ.কে.এম ফজলুল হক মিলন মুঠোফোনে প্রতিবেদককে বলেন, সকল নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানাই। আমার প্রত্যাশা দলের স্বার্থে সকল বিভেদ ভুলে গিয়ে সবাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করবে।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :