সৌদি আরবের দাম্মামে সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে নিহত ৬ বন্ধুর মধ্যে বাংলাদেশী এক বন্ধু লিওনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। একমাত্র ছেলের মৃত্যুর খবরে পরিবারের মাঝে চলছে শোকের মাতম। পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎসই ছিল লিওন। লিওনের অকাল মৃত্যুতে কোনভাবেই মানতে পারছেন না স্বজনরা। তার বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গায় স্বজনদের আহাজারিতে যেন আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠে।
দুর্ঘটনায় একমাত্র বেঁচে যাওয়া বন্ধু নাজমুল(২২) গুরুতর আহত হয়ে আই সি ইউ তে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন তার বাড়িও ভাঙ্গায়। আহত নাজমুলের সড়ক দুর্ঘটনার খবরে তার বাড়িও চলছে কান্নার রোল।
এমন মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনাটি ঘটে সৌদি আরবের দাম্মামে বাংলাদেশ সময় গতরাত ( শনিবার ২৪ আগস্ট) রাত সাড়ে এগারোটার সময়। নিহত আশফাক ফকির লিওনের (২২) বাড়ী ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা পৌরসদরের চৌধুরীকান্দা সদরদী গ্রামে। তার বাবার নাম জাহাঙ্গীর ফকির। আহত বন্ধু নাজমুলের বাড়ী ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের ভদ্রাসন গ্রামে।
নিহতের চাচা বোরহান ফকির জানান, লিওন আমার বড় ভাইয়ের একমাত্র ছেলে। ওরা তিন ভাই বোন সবার ছোট লিওন। লিওনের বড় বোন সৌদি আরবে থাকেন। বোনই লিওনকে নিয়েছে। মাস খানেক হয় বাংলাদেশে এসেছে লিওনের বোন ও ভগ্নিপতি। লিয়নের বাবা জাহাঙ্গীর ফকির ঢাকায় একটি ব্যবসা করতেন। ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে এখন গ্রামেই থাকেন।পরিবারের হাল ধরতে অল্প বয়সেই এইচএসসিতে উঠে সৌদি আরবে পাড়ি জমান লিওন। গতকাল সন্ধ্যার পরে ওরা সাত বন্ধু মিলে একটি প্রাইভেটকারে বাসায় ফিরছিল। সৌদি আরব সময় রাত ঘ সাড়ে আটটার দিকে একটি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে ওরা ছয় বন্ধু ঘটনাস্থলে নিহত হন। ওরা সবাই মিশরের। অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া ওদের এক বন্ধু নাজমুল গুরুতর আহত হন। সে এখন সৌদি আরবের একটি হাসপাতালের আই সি ইউ তে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছে।
নিহত লিওন তার ভগ্নিপতি বাংলাদেশে বেড়াতে আশায় তার ব্যবসা পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন লিওন।
তিনি আরো জানান, আমরা দুই ভাইয়ের একমাত্র ছেলে ছিল লিওন। লিওনের মৃত্যুতে পাগলপ্রায়।
কবে নাগাদ লিওনের মরদেহ বাংলাদেশে আসবে তিনি জানেন না।তবে পরিবারের দাবি ছেলের মরদেহটি যেন দ্রুত বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনেন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :