কুমিল্লায় নদীর পানি কিছুটা কমলেও ধীরগতিতে নামছে লোকালয়ের পানি। তবে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে কয়েকটি গ্রাম। অন্যদিকে ফেনীতে বানের পানি নামলেও নোয়াখালীর বন্যা পরিস্থিতি নতুন করে দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে জেলার ৬ উপজেলায়। গত শনিবার (২৪ আগস্ট) রাতে বৃষ্টি হওয়ায় জেলার কিছু এলাকায় আবারও বেড়েছে পানি। সবমিলিয়ে ১১ জেলায় এখনো পানিবন্দি ১০ লাখের বেশি পরিবার।
এদিকে কুমিল্লায় নতুন করে প্লাবিত হয়েছে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন। ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। চৌদ্দগ্রাম ও নাঙ্গলকোটে ত্রাণ সংকটে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে বানভাসিদের।
অন্যদিকে নোয়াখালীতে জলযানের অভাবে ঠিকমতো পৌঁছাচ্ছে না ত্রাণসামগ্রী। সেনবাগ, বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ি ও সদরের কিছু এলাকায় জলযানের অভাবে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছাতে পারছে না। তবে মৌলভীবাজারে কমেছে নদ-নদীর পানি। যদিও এখনো ডুবে আছে শত শত বাড়িঘর। আর হবিগঞ্জে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরেছেন বেশিরভাগ মানুষ।
আবহাওয়া অফিস বলছে, ফেনী-কুমিল্লাসহ এসব এলাকার সব নদীর পানি কমছে। তবে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকায় এসব এলাকার পানি স্থিতিশীল থাকতে পারে। অন্যদিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বন্যায় প্লাবিত ১১ জেলায় এখনো পানিবন্দি ১০ লাখের বেশি পরিবার। দুর্গত এলাকায় চিকিৎসা সেবা দিতে কাজ করছে ৭শ’র বেশি মেডিকেল টিম।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের ত্রিপুরায় ভারী বৃষ্টিপাত দেখা যায়নি। এ অবস্থায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের ১১ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির আশা করছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। তবে আগামী তিন দিন বৃষ্টি কমে যাওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। কিছু এলাকায় মাঝারি থেকে ভারী কিংবা অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :