বরিশালে উজিরপুরে সাতলায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ দুজনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় সাতলা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার সহ সকল আসামিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় সাতলা- উজিরপুর সড়কে, সাতলা বাজার ব্যবসায়ী, ছাত্র সমাজ ও সুধীজনের ব্যানারে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সাতলা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃ ইউনুস বালীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রতিবাদ কমিটির আহ্বায়ক সাতলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোঃ ফারুক বিশ্বাস, মাওলানা মোজাম্মেল হক, শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে সাবেক ইউপি সদস্য মোনাফসের হাওলাদার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি, আওয়ামী লীগ, হেফাজাতে ইসলাম, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন ও নিহত পরিবারের সদস্যবৃন্দসহ, ছাত্র সমাজের নেতৃবৃন্দ। এ সময় কয়েক হাজার নারী পুরুষ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন নিহত ব্যবসায়ী ইদ্রিস হাওলাদার ও তার চাচাতো ভাই সাগর হাওলাদার দুজনই সাতলা বাজারের ব্যবসায়ী ছিলেন। কিন্তু সন্ত্রাসী আসাদ হাওলাদার ও শাহিন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ঘের নিয়ে বিরোধে জেরে একাধিক মামলার বাদী ছিলেন ব্যবসায়ী ইদ্রিস হাওলাার এ মামলায় শাহিন ও আসাদ জেল খাটেন, জেল থেকে বেরিয়ে প্রতিশোধ নেওয়ার উদ্দেশ্যেই এই হত্যাকান্ড ঘটায় বলে বক্তারা জানান।
বক্তার আরো বলেন চেয়ারম্যান শাহিন ও আসাদ যে ঘের নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, এটা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে জনগণ নিয়ে নতুন কমিটি গঠন করতে হবে। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সাভা শেষে নিহতদের রুহুর মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মানার অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য গত ২৪ আগস্ট রাত ১১ টার দিকে ব্যবসায়ী ইদ্রিস হাওলাদার (৪০) ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে তার চাচাতো ভাই সাগর হাওলাদার (২৭) এর মোটরসাইকেল যোগে নিজ বাড়ি পশ্চিম সাতলা ২নং ওয়ার্ডে ফিরছিলেন পথিমধ্যে সাতলা বড় ব্রিজের পশ্চিম পাড়ের ঢালে গেলে একদল অজ্ঞাত পরিচয় দুর্বৃত্তরা তাদের গতিরোধকরে ব্যবসায়ী ইদ্রিসকে কুপিয়ে ও পায়ের রগ কর্তন করে দেয় এ সময় মোটরসাইকেল চালক তার চাচাতো ভাই সাগর বাধা দিলে তাকেও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
এ সময় তাদের আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে আগৈলঝারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে রাত ১.৪৫ মিনিটে ব্যবসায়ী ইদ্রিস হাওলদার মৃত্যুবরণ করেন তার কয়েক ঘন্টা পরে সাগরও মৃত্যুবরণ করেন। নিহত ইদ্রিস হাওলাদার পশ্চিম সাতলা গ্রামের সোহরাব হাওলাদারের পুত্র ও সাগর হাওলাদার একই বাড়ির শাহাদাত হাওলাদারের পুত্র।
এ ঘটনায় ২৬ আগষ্ট উজিরপুর মডেল থানায় নিহত ইদ্রিস হাওলাদারের স্ত্রী রেশমা বেগম বাদী হয়ে সাতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ শাহীন হাওলাদার, যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদ হাওলাদার সহ ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ কবির বিশ্বাস নামক এক আসামিকে গ্রেফতার করে।
উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাফর আহম্মেদ জানান, জোড়া খুনের মামলার আসামী গ্রেফতার করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :