ছিনতাইয়ের ঘটনা যেন স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। অপরের জিনিস জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়ার মতো কুকর্মের ঘটনা আর যাই হোক পেশা হতে পারে না। আর সেই কাজটাই করে যাচ্ছে পেশাদার ছিনতাইকারীরা। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার সিমান্ত এলাকায় জৈনা বাজার মূলত ভোরে, সকালে, সন্ধ্যায় ও রাতে ছিনতাইয়ের ঘটনা বেশি ঘটে থাকে। সূত্র মতে, জৈনা বাজার এলাকায় ছিনতাইয়ের কয়েটি স্পট আছে। তবে আইনশৃঙ্খলার অবনতির সুযোগে যে কোনো জায়গায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটতে পারে।
ঢাকা-ময়মসিংহ সড়কের গাজীপুরের শেষ সিমানায় নাসির গ্লাস এর পূর্ব পার্শ্বে ছিনতাইয়ের স্পট ও দৌরাত্ম্য দুটোই বেশি। জৈনা বাজার ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য যেমন বেশি, তেমনি প্রতিকারও মেলে কম। যথাযথ প্রতিকার মিললে ছিনতাইয়ের ঘটনা অনেকাংশে কমে যেত, এতে কোনো সন্দেহ নেই। ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে টাকা-পয়সা তো যাচ্ছেই, ক্ষেত্রবিশেষে প্রাণটাই ছিনতাই হয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন বিভিন্ন কাজে এবং পোশাক কারখানায় আসা-যাওয়া করা মানুষ প্রায়ই ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ছে। প্রকৃতপক্ষে সব ছিনতাইয়ের ঘটনা প্রকাশ পায় না। বেশিরভাগ ছিনতাইয়ের ঘটনায় কোনো মামলা হয় না। ভুক্তভোগীরা ভোগান্তির ভয়ে অনেক সময় পুলিশের কাছে যেতে চায় না। গেলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অভিযোগ আমলে নেয়া হয় না।
আগে পকেটমারের দৌরাত্ম্য ছিল। পকেটমারা অনেকটা হ্রাস পেলেও এখন ছিনতাইয়ের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর সঙ্গে গত কয়েক বছর ধরে যুক্ত হয়েছে টানা পার্টি, মলম পার্টি ও অজ্ঞান পার্টির দৌরাত্ম্য। এরা বাসা বাড়ি থেকে ছো মেরে ল্যাপটপ, ব্যাগ, মোবাইল ও অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নিতে সর্বদা তৎপর থাকে। চলন্ত মোটরসাইকেলও ছিনতাইয়ের কবল থেকে রক্ষা পাচ্ছে না।
শ্রীপুর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ সুত্রে ও ভুক্তভোগী আলমগীর বলেন, টাংগাইল জেলার কালিহাতি উপজেলা থেকে ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা স্কয়ার মাষ্টারবাড়ী এস পোশাক কারখানায় কাজ করেন আলমগীর হোসেন। গত (২৯ আগস্ট ) কাজ শেষে জৈনা বাজার আসলে অজ্ঞাত নামা এক মহিলা সহ বিবাদীগন আমাকে আটকাইয়া ধারালো ছুরি দেখাইয়া বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদান করে। তখন বিবাদীগন আমাকে জোরপূর্বক টানিয়া স্বেচরাইয়া একটি চিপা গলিতে নিয়া যাইয়া সকল বিবাদীগন সহ অজ্ঞাত নামা বিবাদীগন আমাকে এলোপাথারী ভাবে মারাপিট করিয়া আমার সাথে থাকা নগদ ১১০৬০/- টাকা ও আমার হাতে থাকা বিদেশী ঘড়ি, ও আমার ব্যবহৃত একটি ঝঅগঝটঘএ এন্ডুয়েট মোবাইল সেট জোরপূর্বক নিয়া দ্রুত ঘটনাস্থল হইতে চলিয়া যায়। ঘটনাস্থলে আমার অবস্থা খারাপ হইলে আশপাশের লোকজনের সহায়তায় শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে আসিলে কর্তব্যরত ডাক্তার আমাকে রেজিঃ ৩৬২১/০৭ মুলে চিকিৎসা প্রদান করেন ।
টাংগাইল জেলার কালিহাতি উপজেলার হাসরা গ্রামের মৃত সানোয়ার হোসেনের ছেলে আলমগীর হোসেন, সে বর্তমানে ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা স্কয়ার মাষ্টারবাড়ী এস পোশাক কারখানায় কাজ করেন। এবিষয়ে আলমগীর তিন জনের নাম উল্লেখ্য করে শ্রীপুর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন,অভিযোক্তরা হলেন, ১। আজিজুল (৪০) পিতা— সিরাজ, ২। সুমন (২৬) পিতা- অজ্ঞাত উভয় সাং— আবদার, থানা— শ্রীপুর, জেলা— গাজীপুর । ৩। স্বপন (২০) পিতা— আজিম সাং— আর কে মিশন রোড, থানা— ময়নসিংহ সদর, জেলা— ময়মনসিংহ এ/পি সাং— আবদার (করিম এর বাসার ভাড়াটিয়া) থানা— শ্রীপুর, গাজীপুরগন সহ আরো অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন
(৩১) পিতা— মোঃ সানোয়ার হোসেন সাং— হাশরা, থানা—, জেলা— এ/পি সাং— । বিবাদী ১। আজিজুল (৪০) পিতা— সিরাজ, ২। সুমন (২৬) পিতা— অজ্ঞাত উভয় সাং— আবদার, থানা— শ্রীপুর, জেলা— গাজীপুর । ৩। স্বপন (২০) পিতা— আজিম সাং— আর কে মিশন রোড, থানা— ময়নসিংহ সদর, জেলা— ময়মনসিংহ এ/পি সাং— আবদার (করিম এর বাসার ভাড়াটিয়া) থানা— শ্রীপুর, গাজীপুরগন সহ আরো অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন বিবাদীদের বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, গত ২৯/০৮/২০২৪ ইং তারিখ সন্ধা অনুমান ০৬:০০ ঘটিকার সময় আমি শ্রীপুর থানাধীন আবদার মোড় আমার পরিচিত ব্যক্তির সাথে দেখা করিতে আসিলে ৷ অজ্ঞাত নামা এক মহিলা সহ বিবাদীগন আমাকে আটকাইয়া ধারালো ছুরি দেখাইয়া বিভিন্ন প্রকার ভয়—ভীতি ও হুমকি প্রদান করে। তখন বিবাদীগন আমাকে জোরপূর্বক টানিয়া স্বেচরাইয়া একটি চিপা গলিতে নিয়া যাইয়া সকল বিবাদীগন সহ অজ্ঞাত নামা বিবাদীগন আমাকে এলোপাথারী ভাবে মারাপিট করিয়া আমার সাথে থাকা নগদ ১১০৬০/- টাকা ও আমার হাতে থাকা বিদেশী ঘড়ি, ও আমার ব্যবহৃত একটি ঝঅগঝটঘএ এন্ডুয়েট মোবাইল সেট জোরপূর্বক নিয়া দ্রুত ঘটনাস্থল হইতে চলিয়া যায়। ঘটনাস্থলে আমার অবস্থা খারাপ হইলে আশপাশের লোকজনের সহায়তায় শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে আসিলে কর্তব্যরত ডাক্তার আমাকে চিকিৎসা প্রদাণ করেন ।
শ্রীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম সোহেল রানা বলেন, এবিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি.তবে অবিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্তের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :