ফরিদপুরের ভাঙ্গায় গাছ কাটা নিয়ে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (৩১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার আলগী ইউনিয়নের পীরেরচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার পীরেরচর গ্রামের চুন্নু শেখ ও সেকেন মাতুব্বরের সঙ্গে ওসমান মাতুব্বর ও আবু মাতুব্বরের একটি বাড়ির জায়গা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ জায়গা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কয়েকদফা বৈঠক হয়। বৈঠকে দুই পক্ষের ওসমান ও আবু মাতুব্বরের মধ্যে সমান অংশ হারে ভাগাভাগি করে দেওয়া হয়। সে জায়গা থেকে ওসমান মাতুব্বরের লোকজন তার অংশ থেকে বেশ কয়েকটি গাছ কেটে নেয়। বাকি অংশ থেকে শনিবার সকালে আবু মাতুব্বর আরও কয়েকটি গাছ কাটে। পুরো জায়গার মধ্যে চুন্নু শেখের দলের সেকেন শেখ জায়গা পাবে বলে দাবি করে গাছ কাটতে বাঁধা দেয়। এ নিয়ে কথা বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। তখন ওসমান মাতুব্বর ও আবু মাতুব্বরের লোকজনের সঙ্গে চুন্নু ও সেকেন মাতুব্বরের লোকজন দেশীয় অস্ত্র, ইট পাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এতে ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় চারটি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় শহীদ মাতুব্বর জানান, আমাদের একটি বাড়ির জায়গা নিয়ে আবু মাতুব্বরের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলে আসছে। পরে আমরা আবু মাতুব্বরের সঙ্গে আপোষ মীমাংসা হয়েছে। তৃতীয়পক্ষ চুন্নু শেখের পক্ষের সেকেন শেখ ওই জায়গার মধ্যে জায়গা দাবি করে গাছ কাটতে বাধা দেয়। এ নিয়ে চুন্নু শেখের লোকজন আমাদের ওপর হামলা করে। এতে দুই পক্ষের অন্তত ২০-২২ জন আহত হয়েছে।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাকিব জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত করেছি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :