ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় এক সংখ্যালঘু হিন্দু বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়েছে।রবিবার দিবাগত রাত দুইটার সময় উপজেলা পৌরসদরের নওপাড়া গ্রামের কানু ডাক্তারের বাড়ী এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। কানু ডাক্তার নওপাড়া গ্রামের মৃত্যু পাচু দত্তের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার রাত দুইটার দিকে ১০ থেকে ১২ জনের একদল মুখোশ পরিহিত ডাকাত দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে। গৃহকর্তা দুই ভাই তারেক দত্ত ও কানু দত্ত সহ পরিবারের সকল সদস্যকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সকলকে বেধে রেখে লুটে নেয়। একপর্যায়ে ডাকাত দল তিন বছরের সন্তান তারেক দত্তের মেয়ের গলায় অস্ত্র ঠেকিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়ে সাত থেকে আট ভরি স্বর্ণ অলংকার ও নগদ ৩৩ হাজার টাকা লুটে নেয়।
এ ঘটনায় গৃহকর্তা কানু দত্ত জানান, ঘরের ভিতরে প্রবেশ করেছিল ৭ জন ডাকাত এবং বাহিরে আনাগোনা শব্দ পাওয়া গেছে এরা দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে আমাদেরকে বেঁধে রেখে অস্ত্র ঠেকিয়ে সব লুটে নেয়। ডাকাত দলেরা আমাদের মোবাইল ফোন অন্য রুমে রেখে আমাদের সকলকে এক রুমে বেঁধে রেখে ওরা ইচ্ছামতো তান্ডব চালায়।
এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানার তদন্ত অফিসার এসআই মনিরুল ইসলাম ডাকাতির ঘটনার সত্যতা মিলেছে বলে জানান। তিনি আরো জানান,ডাকাত দলেরা যে আশা করে ঢুকছিল সেই আশা তাদের পূরণ হয়নি। কিছু স্বর্ণ অলংকার ও কিছু নগদ টাকা নিয়েছে।
ভুক্তভোগীদের আমরা থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করতে বলে এসেছি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এদিকে ভাঙ্গায় আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি বলে জানিয়েছেন ভাংগা বাজারের ব্যবসায়ীরা। প্রতিনিয়ত ভাঙ্গা বাজারে ব্যবসায়ীদের দোকানের চাল বেড়া কেটে চুরি সংঘটিত হচ্ছে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :