AB Bank
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

এমপি ফারুক চৌধুরীসহ আ.লীগ নেতা ও প্রধান শিক্ষক এবং সাংবাদিকের নামে মামলা 


Ekushey Sangbad
সারোয়ার হোসেন, তানোর, রাজশাহী
০৬:২৭ পিএম, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
এমপি ফারুক চৌধুরীসহ আ.লীগ নেতা ও প্রধান শিক্ষক এবং সাংবাদিকের নামে মামলা 

সাবেক এমপি ফারুক চৌধুরী ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নাসহ ১০৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০০ জনের বিরুদ্ধে রাজশাহীর আমলী তানোর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়াও মামলার আসামী উপজেলা আ"লীগের সভাপতি মাইনুল ইসলাম স্বপন, সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রদীপ সরকার,  তানোর (চাপড়া) মহিলা কলেজের অধ্যাক্ষ আ"লীগ নেতা অনুকূল কুমার ঘোষ, তানোর পৌরসভার টেকনিক্যাল কলেজের অধ্যাক্ষ অসিম সরকার,  চাপড়া স্কুলের প্রধান শিক্ষক আ.লীগের  যুগ্ম সম্পাদক  জিল্লুর রহমান, কয়েল হাট কলেজের অধ্যাক্ষ আ"লীগ নেতা মিজানুর রহমান, পারিশো দূর্গাপুর স্কুলের প্রধান শিক্ষক কৃষকলীগ সভাপতি রাম কমল সাহা, পৌর সভাপতি আকচা স্কুলের প্রধান শিক্ষক আসলাম উদ্দিন, মডেল পাইলট স্কুলে প্রধান শিক্ষক আ.লীগ নেতা মাইনুল ইসলাম সেলিম, বাধাইড় ইউপি চেয়ারম্যান ইউপি সভাপতি আতাউর রহমান, পাঁচন্দর ইউপি চেয়ারম্যান ইউপি সভাপতি আব্দুল মতিন, চান্দুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইউপি সভাপতি মজিবর রহমান, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা কৃষক লীগের সম্পাদক আবু বাক্কার, কলমা ইউপি সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর রেজা সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেন সোহেলসহ  ১০৭ জনের নাম উল্লেখ ও ২০০ জনকে অজ্ঞাত করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। 

মামলার বাদি কামারগাঁ ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ। তার বাড়ি কাদিরপুর গ্রামে। এমন মামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোদ বিএনপির নেতাকর্মীরাই ক্ষোভে ফেটে পড়েন। কারন পাইকারি হারে সাংবাদিক ও শিক্ষক এবং সাধারণ মানুষের নামে মামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় সৃষ্টি হয় উপজেলা জুড়ে। সেই সাথে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষী ও শীর্ষ নেতাদের নাম রেখে সাধারন মানুষের নাম প্রত্যাহার করার জোর দাবি তুলেছেন সচেতন মহল। নইলে দলের ভাবমূর্তি চরম ভাবে নষ্ট হবে বলেও মনে করছেন বিএনপির শীর্ষ নেতাসহ জনসাধারণ।

মামলার এজহারে উল্লেখ, বিগত ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসের ২৭ তারিখে কামারগাঁ বাজারে মামলার বাদী সহ বিএনপির নেতাকর্মীরা সভা করছিল। এসময় আসামীরা হুমকি দিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। শুধু তাই না জিয়া পরিষদে সভা চলা অবস্থায় হত্যার উদ্দেশ্যে পেট্রোল দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়। যার কারনে  ঘরে থাকা আসবাব পত্র সহ যাবতীয় মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির বেশকিছু নেতারা জানান, কামারগাঁ বাজারে সবচেয়ে দাপটে নেতা ইউপি আ"লীগের সম্পাদক সুফি কামাল মিন্টুর নাম নাই মামলায়। এটা নিয়ে শুরু হয়েছে রহস্য। অথচ সাবেক বিএনপি নেতা নব্য আ"লীগ জাকির হোসেন জুয়েলের নাম দেয়া হয়েছে। এসব মামলার নামে বানিজ্য শুরু করেছেন একটি মহল।  দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে একশ্রেণীর নামধারী বিএনপি একাজ করছেন। যা দলের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বলে মনে করছেন। 

দলীয় সুত্র জানায়, তানোরে বিএনপি দুভাগে বিভক্ত। একভাগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অবশরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল শরিফ উদ্দিন। অপর পক্ষের নেতৃত্বে আছেন জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য সাবেক মেয়র সাবেক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান। মামলার বাদি চান্দুড়িয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিনের ছেলের শ্বশুর। তারা শরিফ উদ্দিনের গ্রুপের নেতা। মামলায় আক্রোশ মুলুক ভাবে অনেকের নাম দেয়া হয়েছে।  মামলার কারনে অবসর প্রাপ্ত মেজর শরিফ গ্রুপের ভাবমূর্তি মারাত্মক ভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। এই মামলার কারনে মিজান গ্রুপের নেতাকর্মীদের মান বেড়েছে। কারন স্বৈরাচার সরকারের সময় যে ভাবে গায়েবি মামলা দেয়া হত, এখানেও গায়েবি ভাবে অনেকের নাম দেয়া হয়েছে। আবার ২০০ জনকে অজ্ঞাত করা হয়েছে। এটা নিয়ে ব্যাপক বানিজ্য হবে বলেও মনে করেন তৃনমুল বিএনপি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশ নায়ক তারেক রহমানসহ মহা সচিবের কঠোর নির্দেশ মামলায় যেন কোন সাধারণ নিরহ ও ব্যক্তিগত আক্রোশে কারো নাম দেয়া না হয়। কারন ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে স্বৈরাচার হাসিনা ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। বিএনপির উপর দেশের মানুষের আস্থা ভালোবাসা আছে বলেও ১৬ বছরে হাজারো জুলুম নির্যাতন, মামলা, হামলা করে দলকে বিভক্ত করতে পারেনি। সুতরাং আগামীর নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে প্রতিহিংসা পরায়ন হওয়া যাবেনা। আর যারা এসব করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর দলীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিশেষ করে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী তানোর প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন সোহেলের নাম ব্যবহার করার কারনে কর্মরত সাংবাদিকরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

সোহেল জানান,  কামারগাঁ বাজারে জিয়া পরিষদ আছে কিনা সেটাও আমি জানিনা। ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার কারনে আমার নাম ব্যবহার করা হয়েছে। মামলাটি সিআইডিকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন মহামান্য আদালত। মামলার বাদি আবুল কালাম আজাদের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!