পৌর শহরের ভিতরের সড়কে একদিন ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা উঠলে পরদিন আর ওই যাত্রী রিক্সায় উঠতে চায় না কোমরের ব্যথার কারণে। পৌরসভার তেতুলতলা মোড় হতে মীরগঞ্জ বাজার, মহিলা বাজার হতে পূর্ব বাইপাস মোড় ভায়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামন হয়ে পশ্চিম বাইপাস মোড় পর্যন্ত পৌর সড়কের বেহাল দশা। অসংখ্য খান-খন্দে ভরপুর পৌরসভার সবগুলো সড়ক। সবুজ মিয়ার দাবি সড়কগুলা বর্তমানে ব্যবহারের অযোগ্য। সে কারণে চরম দুর্ভোগ পোয়াচ্ছে হচ্ছে পথচারি, স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ সকল প্রকার যানবাহনকে। পৌরসভার পক্ষ হতে বেশ কয়েকবার পিচের উপর খোয়া দিয়ে জোড়াতালি দেয়া হয়েছে সড়কগুলো।
একই দাবি তুলে ধরে অটো চালক হাসু মিয়া বলেন, খোয়া দিয়ে জোড়াতালির সড়কগুলোতে সামন্য বৃষ্টি হলেই জমে যায় হাটুপানি। অসংখ্য খানা-খন্দের মধ্যে গাড়ি চালাতে গিয়ে অনেক কষ্ট করতে হচ্ছে। অনেকে ঝাকুনির কারনে পায়ে হেটে চলাচল করছেন। পানি নেমে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় নালা না থাকায় বৃষ্টি থামার ২৪ ঘন্টা পরও সড়কে পানি জমে থাকতে দেখা গেছে।
কলেজ পাড়া সড়কে হাটু পানি জমে থাকার কারণে স্কুল পড়ুয়া ছেলে মেয়েরা জুতা ও পরনের প্যান্ট ভিজে প্রতিনিয়ত স্কুলে যেতে হচ্ছে বলেন কলেজ পাড়ার বাসিন্দা নিমাই ভট্টাচার্য্য বলেন দীর্ঘ ১০ বছরেরও সড়কগুলো মেরামত বা সংস্কার করা হয়নি। বৃষ্টি হলে কলেজ পাড়ার সড়কে পায়ের জুতা খুলে হাতে নিয়ে চলাচল করতে হয়।
পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও কলেজ পাড়ার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন দীর্ঘদিন ধরে কোন বরাদ্দ না থাকায় পৌরসভার কোন প্রকার উন্নয়নমুলক কর্মকান্ড করা সম্ভব হচ্ছে না। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের একাধিক প্রকল্পের আওতায় পানি নিস্কাশনের জন্য কয়েকটি নালা নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে। তাছাড়া পৌরসভার নিজস্ব কোন অর্থ না থাকায় সংস্কার ও মোরামতের কাজ করা সম্ভাব হয়নি।
পৌরসভার প্রকৌশলী মো. আবুল বাশার জানান, দীর্ঘদিন ধরে কোন প্রকার প্রকল্প না থাকায় অবকাঠামো উন্নয়ন ও সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। সে কারণে পৌর সড়কগুলোর বেহাল দশা। ইতিমধ্যে এলজিইডির নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের প্রায় ২০ কোটি টাকার টেন্ডার চলমান রয়েছে। এডিবি ও এএফডির অর্থায়নে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হলে পৌরসভার অনেকটা উন্নয়ন করা সম্ভাব।
সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত মেয়র মো. আব্দুর রশিদ রেজা সরকার ডাবলু জানান, অনেক সাধনার পর এই পৌরসভায় এলজিইডির নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের প্রায় ৪০০ কোটি টাকার বরাদ্দ অনুমোদন দিয়েছে। পর্যায়ক্রমে এসব প্রকল্পের কাজ হবে। ইতিমধ্যে টেন্ডার হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে আশা করা যাচ্ছে পৌরসভার ব্যাপক উন্নয়ন হবে।
পৌর প্রশাসক ও গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. জাহিদ হাসান সিদ্দিকী বলেন, প্রকল্প সমুহ চলমান থাকবে। প্রকল্পবন্ধ হবে এমন কোন চিঠিপত্র পাওয়া যায়নি। উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :