নেটওয়ার্ক বিহীন বাংলাদেশ ও মায়ানমার সীমান্তবর্তী ঘেঁষা বান্দরবানে থানচিতে দুর্গম রেমাক্রী ইউনিয়নের সাঙ্গু নদীর উজানে রিজার্ভের এলাকায় কয়েকটি পাড়ার বাসিন্দাদের খাদ্যভাবের মূলত “দুর্গম মানুষের শুধুই খাদ্য সংকট নই, তাদের প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা ও সুশিক্ষা” বলে ওই এলাকায় সামাজিক সচেতন মহলে দায়বদ্ধতায় আখ্যায়িত করে অনুভূতি কথা জানিয়েছেন- রংখ্রেদঃ চাইল্ড হোম এর পরিচালক উথোয়াইংগ্য মার্মা।
রংখ্রেদঃ চাইল্ড হোমের পরিচালক উথোয়াইংগ্য মার্মা জানান, সাঙ্গু নদীর উজানে রিজার্ভের এলাকায় কয়েকটি পাড়ার মধ্যে ৫টি পাড়ার বাসিন্দাদের মূলত ১০ থেকে ১৫ পরিবারের মতো কিছুটা খাদ্যভাব ভোগচ্ছিলেন। কেন না? তাদের গত বছরে জুমের ধান ফলন ভালো না হওয়ায় চলতি বছরে জুমের ধান পাঁকতে না পাঁকতে সরবরাহ চালগুলো শেষ হয়ে যায়। তাতে গত কয়েক মাস ধরে বাঁশ কোড়ল দিয়ে অল্পের চাল রান্না করে খেতে হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, ক্ষুর্ধাত মানুষের খবর পেয়ে গত রবিবার (১লা সেপ্টেম্বর) দিনের রংখ্রেদঃ চাইল্ড হোম উদ্যোগে ম্যাজিক্যাল লাইট সংস্থার দাতা Glenda Goh Jia Eh ও আমেরিকার প্রবাসী তরুণ বড়ুয়া আর্থিক অনুদানে সাঙ্গু নদীর উজানে রিজার্ভের এলাকায় ৫টি পাড়ার থেকে ৬০ পরিবারের মাঝে চাল, নাপ্পি, লবণসহ জরুরি কিছু ঔষধ বিতরণ করা হয়েছে।
উথোয়াইংগ্য মার্মা আরো জানান, ওই দুর্গম এলাকায় মানুষের ধালাওভাবে খাদ্য সংকট ছিল না, পুরোদমে সামাজিক সচেতনতা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা অভাবিত রয়েছে। ওখানকার পুরুষদের নেশাগ্রস্ত সাথে জড়িত এবং অলসতার প্রাধান্য দেওয়ায় অল্পের পরিমাণের জুম চাষের ফলে চলতি বছরে জুমের নতুন ফসল আসার আগে সরবরাহ ধান কিংবা চাল শেষ হওয়ায় খাদ্যভাব আশঙ্কার বেশি দেখা দিয়েছেন। সেটি ওই এলাকায় পাড়াগুলোতে কম বেশির খাদ্যভাব প্রতিবছরে হয়ে আসছে। ইতিমধ্যেই ওই এলাকার মানুষের খাদ্য সংকটের খবর পেয়ে সরকারি ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণ প্রদানে তাদের আর ত্রাণের প্রয়োজন হবে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, রেমাক্রী ইউনিয়নের সদস্য মাংচং ম্রোঃ, বিএনকেএস এনজিও মাঠকর্মী সাঅংসিং মার্মা, মাঠকর্মী হইনাক খুমী, থানচি (বিএমএসসি) সাধারণ সম্পাদক উশৈমং মারমা, কর্ণফুলী ডিগ্রি কলেজ ছাত্র নুশৈপ্রু মারমা প্রমুখ। এছাড়াও পাড়ার প্রধান কারবারীরা উপস্থিত ছিলেন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :