নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ী ও শৌলমারী ইউনিয়নের ভিতর দিয়ে বয়ে চলা বুড়ি তিস্তা নদির ডান ও বাম তীর বাধ ভেঙে প্রায় বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে এলাকাগুলো ঘুরে দেখা গেছে বিগত বর্ষা মৌসুমের পূর্বেই বুড়ি তিস্তা নদির খনন কাজ সমাপ্ত ঘোষনা করার পরে নদীর উভয় তীরের বাধ পুননির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। বাধ পুননির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই বর্ষাকাল এসে পরায় কাজ স্থগিত রেখে ঠিকাদার চলে যায়। বাধের দুই ধারে যথাযথ প্রক্রিয়ায় ‘রেইন কোট’ তৈরী না করার ফলে এবারের প্রবল বর্ষনে দুই তীরের বাধ থেকে মাটি ও বালু ধ্বসে গিয়ে পুরো বাধ বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। পুরো বাধ জুড়ে বিশাল বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়ে যান চলাচল সম্পুর্ন বন্ধ হয়ে গেছে এবং এর ফলে তিন ইউনিয়নের পঞ্চাশ সহস্রাধিক মানুষের যোগাযোগের ক্ষেত্রে সীমাহীন দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। যান চলাচল তো দূরের কথা বৃষ্টি হলে পায়ে হেটে এ রাস্তায় চলাচলের কোনো উপায় থাকছে না ফলে ব্যাবসা বানিজ্য ও স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল কলেজ যাতায়াতও প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে ঠিকাদারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান যে, আগামী নভেম্বর ডিসেম্বরের আগে অবশিষ্ট কাজ পুনরায় শুরু করা সম্ভব নয়। বর্ষা মৌসুমে কাজ করলে বৃষ্টিতে আবার বাধ ধ্বসে যেতে পারে, এর ফলে তিনি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :