গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের ছয়ঘড়িয়া গ্রামে এক রাতে দুটি কবরস্থানের ছয়টি কবর খুঁড়ে কঙ্কাল চুরি করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। একেবারে নতুন বা পুরনো কবর নয়, কেবল তিন থেকে চার মাস আগে মারা যাওয়া বয়স্ক মানুষদের দেয়া কবর থেকেই এ মৃতদেহ গুলো চুরি করা হয়েছে।
গত সপ্তাহের যে কোন রাতের আঁধারে উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের শ্রীপতিপুর ছয়ঘরিয়া গ্রামের একটি পরিবারের দুটি কবরস্থানে এ চুরির ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি স্বজনদের নিয়ে নজরে আসে গত শুক্রবার বিকেলে। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের শ্রীপতিপুর ছয়ঘরিয়া গ্রামের আকন্দ পরিবারের দুটি কবরস্থানে সম্প্রতি রাতের আঁধারে কে বা কারা ছয়টি কবর খুঁড়ে মরদেহগুলো চুরি করে নিয়ে যায়। গত শুক্রবার বিকেলে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে বাঁশঝাড়ের মাঝে দেয়া চার মাস আগে মৃত শুকুর আলী আকন্দ নামের এক বৃদ্ধের কবর খোঁড়া অবস্থায় প্রথম দেখতে পান স্বজনরা। তারপর একে একে এফাজ আকন্দ ও তার স্ত্রী নেছারন, জামিলা বেগম, নইতন নেছা ও হাজরা বেগম নামের পাঁচ মৃত ব্যাক্তির কবর খুঁড়ে মরদেহ বের করে নেয়ার আলামত দেখতে পান তারা।
ছয়ঘরিয়া আকন্দপাড়ার বাসিন্দা মৃত জামিলা বেগমের পুত্র আব্দুল লতিফ আকন্দ জানান, তার মা সহ ছয়জনই তিন থেকে চার মাস আগে মারা গিয়েছেন। সেখানে আরও পুরনো এবং সাম্প্রতিক বেশ কিছু কবর থাকলেও সেগুলো খোঁড়া হয়নি বা মৃতদেহ চুরি করা হয়নি। চুরির পর মাটি দিয়ে ঢেকে রাখলেও আমরা পূনরায় সম্পূর্ণ কবর খুঁড়ে মরদেহ চুরির বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি।
ঘটনার শিকার মৃত শুকুর আকন্দের পুত্র মাওলানা আব্দুল আউয়াল জানান, এ ঘটনায় শঙ্কিত থাকলেও তারা এ ব্যাপারে থানায় কোন অভিযোগ করেননি।
এ ঘটনায় আশপাশের অন্যান্য কবরস্থানেও একই ঘটনার পূনরাবৃত্তির আশঙ্কা করছেন এলাকার লোকজন।
মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম প্রধান কবর খুঁড়ে মরদেহ চুরির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :