খাবার, পানি ও চিকিৎসক সাথে নিয়ে ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে ব্যতিক্রমী এক আন্দোলন করেছে মহিমাগঞ্জের কয়েক হাজার মানুষ।
রেলপথে রংপুর বিভাগের প্রবেশদ্বার ও গাইবান্ধার শিল্পাঞ্চলখ্যাত গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ রেলস্টেশনে রাজধানীর সাথে চলাচলকারী বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন কয়েক হাজার মানুষ। এ সময় ঢাকা থেকে বুড়িমারিগামী ৮০৯ আপ বুড়িমারী এক্সপ্রেস ও রংপুরগামী ৭৭১আপ রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি আটকে পড়ে। এ সময় ট্রেন যাত্রীদের মাঝে ঠান্ডা পানি ও শুকনো খাবার সরবরাহ করেন আন্দোলনকারীরা। এ ছাড়াও জরুরী রোগির স্বাস্থ্যসেবার জন্য কয়েকজন চিকিৎসকও তৈরি রাখা হয় স্টেশনে।
এ সংবাদ পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নেতৃত্বে একদল পুলিশ এসে জনতাকে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চালিয়ে যেতে অনুরোধ করেন। এর আগেই বোনারপাড়া রেলওয়ে থানা থেকে একদল রেলপুলিশ ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা মহিমাগঞ্জ রেল স্টেশনে এসে অবস্থান নেন।
সরেজমিনে মহিমাগঞ্জ রেল স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে স্টেশনে জড়ো হতে থাকেন। বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে কয়েক হাজার মানুষ ঢাকা থেকে বুড়িমারিগামী ৮০৯ আপ বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনটি মহিমাগঞ্জ অতিক্রম করতে চাইলে জনতা সেটি আটকে দেয়। খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাসেল মিয়া স্টেশনে পৌঁছে জনতাকে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করতে অনুরোধ করেন। এ সময় তিনি উর্ধতন রেল কর্তৃপক্ষের সাথে উদ্ভূত পরিস্থিতির খবর এবং স্টেশনের গুরুত্ব ও ট্রেন বিরতির জনদাবি জানিয়ে রেলের টেলিফোনে আলোচনা চালাতে থাকেন। এরই মাঝে বিকেল সোয়া ৫টার দিকে ঢাকা থেকে রংপুরগামী ৭৭১আপ রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি এরে সেটিও আটকা পড়ে। দুটি ট্রেন পাশাপাশি আটকে রেখে আন্দোলনকারীরা সেখানে বক্তব্য রাখেন।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতির লিখিত নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত এই রেল স্টেশনের ওপর দিয়ে একটি ট্রেনও অতিক্রম করতে দেওয়া হবে না। সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দুটি ট্রেনই আটকে ছিলো বলে জানা গেছে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :