মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীক বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ না করেও যারা মুক্তিযোদ্ধার সনদ নিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার নাদিয়া সিম্পসনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপদেষ্টা কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, `বিগত আন্দোলনে একটা প্রধান বক্তব্য ছিল মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের কোটা। সরকারি এবং আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠানের কত জনের চাকরি মুক্তিযোদ্ধা কোটায় হয়েছে, এর একটি তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। তালিকা প্রস্তুত হয়ে যাওয়ার পর যাদের মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি হয়েছে তারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কিনা, নায্যভাবে হয়েছে কিনা- বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
`তিনি বলেন, `মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও মুক্তিযুদ্ধ হওয়ার মাঝখানে একটা প্রাতিষ্ঠানিক বিষয় রয়েছে, সেটা হচ্ছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল জামুকা। মুক্তিযোদ্ধা কারা হবে না হবে সেটা জামুকা নির্ধারণ করে দিত। মন্ত্রণালয় শুধু তাদের নির্ধারিত হওয়া বিষয়টি বাস্তবায়নে যেত। এটার আইনগত বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।`
মুক্তিযোদ্ধা রিভিউ হবে কিনা- এ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, `অবশ্যই সবকিছু হবে, যাতে ন্যায্যভাবে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের সম্মানটা ফিরে পায়। মুক্তিযুদ্ধ তো আমাদের জাতীয় জীবনে অনন্য ঘটনা। এটাকে তো আমরা হাসি-মশকরা দিয়ে কিংবা অবহেলা দিয়ে তো নষ্ট করতে পারি না। এর থেকে গৌরবোজ্জ্বল, এর থেকে ত্যাগের বীরত্বের মহিমা জাতির কাছে তো আর আসেনি। যারা সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা তারা ওইটাই ফিরে পেতে চায়। এটাই তাদের ফিরে পাওয়ার আকুতি।`
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করতে পারলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, `কেন নেব না। এটা তো জাতির সঙ্গে প্রতারণা হয়েছে। যদি কেউ মুক্তিযোদ্ধা না হয়ে মুক্তিযুদ্ধের সুবিধাদি গ্রহণ করে থাকে, এটা তো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যারা সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা তারা এ বিষয়টা নিয়ে অপমানিত বোধ করছে।
একুশে সংবাদ/আ.ম/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :