ফরিদপুরে ভাঙ্গা থানার একশ মিটারের মধ্যে দুটি মন্দিরে নির্মাণাধীন দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটকের তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। তবে তার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।শনিবার দিবাগত রাতে ভাঙ্গা বাজারের গুড়পট্টি এলাকার ‘ভাঙ্গা বাজার সার্বজনীন হরি মন্দির’ ও ভাঙ্গা থানার সামনের ‘ভাঙ্গা সার্বজনীন কালি মন্দিরে’ এই প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
গুড়পট্টি মন্দিরের পরিচালনা কমিটির সভাপতি স্বপন চন্দ্র সাহা (৫৫) বলেন, ‘এই মন্দিরে ৭৫ বছর ধরে দুর্গা পূজা করে আসছি। অনেক পুরোনো, কোনোদিন এমন ঘটনা ঘটেনি। রোববার সকালে দেখতে পাই কে বা কারা একটি প্রতিমার আংশিক ভাঙচুর করেছে।’
দুর্গা প্রতিমা নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পথে জানিয়ে স্বপন চন্দ্র সাহা বলেন, ‘এখন শুধু রঙের কাজ বাকি। টানা ৩ দিনের বৃষ্টিতে এমনিতেই পিছিয়ে গেছি, ভাঙচুরের ফলে আরও পিছিয়ে যেতে হবে।’
স্বপন চন্দ্র সাহা বলেন, ‘আমাদের এই মন্দির থেকে ভাঙ্গা থানার দূরত্ব একশ মিটার। এরপরও এই ঘটনা ঘটল।’
এই মন্দির সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা সুজিৎ সাহা (২৭) জানান, রোববার সকালে তিনি মন্দিরে প্রণাম করতে এসে দেখেন প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। এ মন্দিরের তিন দিকে দেয়াল ও ওপরে টিন। তবে সামনে কোনো গেট নেই।
সুজিৎ বলেন, ‘এ মন্দিরে মোট ১৪টি প্রতিমা নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে ৮টি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে।’ ওই মন্দির থেকে আনুমানিক একশ মিটার দূরে ভাঙ্গা থানার সামনে অবস্থিত ভাঙ্গা সার্বজনীন কালী মন্দির। সেখানেও প্রতিমা নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর রঙের কাজ বাকি ছিল।
মন্দিরের সভাপতি কাশিনাথ সাহা জানান, শতবর্ষের পুরোনো এ মন্দিরে এমন ঘটনা আগে ঘটেনি। রোববার সকালে নির্মাণাধীন প্রতিমা দেখতে গিয়ে তিনি গণেশের প্রতিমা ভাঙা অবস্থায় পান। বিষয়টি ভাঙ্গা থানায় জানানো হয়েছে।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোকসেদ হোসেন বলেন, ভাঙ্গায় দুটি মন্দিরে নির্মাণাধীন প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। তবে কে বা কারা ভাঙচুর করেছে তা শনাক্ত করা যায়নি। তবে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপারকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে জানিয়ে মোকসেদ বলেন, রোববার রাতেই পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এই ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করার জন্য পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগ কাজ করছে । এই ঘটনায় এরই মধ্যে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :