যশোর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেছেন বৈষম্যবিরোধী সনাতন সমাজ ব্যানারের নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার বেলা ১২টায় প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন সংগঠনের আহ্বায়ক মৃণাল কান্তি দে।
তিনি বলেন, নেতারা গায়ের জোরে মুড়লি জোড়া শিব মন্দির, সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির, লালদিঘির পাড়ের হরিসভা মন্দির, নীলগঞ্জ মহাশ্মশান ও রাজারহাট শ্মশানের বৈধ কমিটি ভেঙে দিয়ে দখল করে নিয়েছে। তারা তাদের পছন্দের লোকজনকে দিয়ে কমিটি করেছে। কেবল তাই না, বৈধ কমিটির নেতাদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত পর্যন্ত করেছেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়েছে, পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের স্বার্থ বিবেচনা না করে ব্যক্তিস্বার্থে সবকিছু করেন।
উপস্থিত নেতৃবৃন্দ বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তারা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হন। সংবাদ সম্মেলনে মৃনাল কান্তি দে বলেন, তিনি পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছিলেন। তখন পুলিশ প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ তাকে চাপ প্রয়োগ করে বসিয়ে দেন।
সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরের সভাপতি সুজিৎ কাপুড়িয়া বলেন, আওয়ামী লীগ আমলে তাকে নাজেহাল করা হয়েছে। তাকে বাদ দিয়ে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষে কালী মন্দির সংস্কার করার নামে পাঁচ লাখ টাকা লুট করা হয়েছে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় তিনি মামলা করেছেন আদালতে। তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতও করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নতুন এই সংগঠনের আহ্বায়ক মৃনাল কান্তি দে। উপস্থিত ছিলেন সদস্য সচিব অধ্যাপক অখিল চক্রবর্তী, সদস্য অশোক কুমার ঘোষ, সুজিৎ কাপুড়িয়া, অধ্যাপক গোপীকান্ত সরকার, অধ্যাপক সুনীল কুণ্ডু, অধ্যাপক কার্তিক চন্দ্র রায়, বিষ্ণুপদ সাহা, অমল অধিকারী, অনুপমা মিত্র, পরিমল মজুমদার প্রমুখ।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :