কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে সিএনজির চালকসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে ভৈরবের দুর্জয় মোড় থেকে সিএনজিচালক শাহ আলমকে (২৮) আকবরনগর থেকে গ্রেফতার করা হয় তানভীরকে (২৩) আটক করা হয়।
এর আগে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে ভৈরব থেকে সিএনজিতে চরে কিশোরগঞ্জ যাওয়ার পথে কুরিয়ারচর এলাকায় সিএনজি চালক ও তার এক সহযোগী মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় কুলিয়ারচর থানায় ধর্ষণ মামলা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী বরিশালের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়াশোনা করেন। বুধবার রাতে তিনি বরিশাল থেকে বিভিন্ন বাহনে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে এসে পৌঁছান। সেখান থেকে অটোরিকশায় বাড়িতে ফেরার পথে কুলিয়ারচরে ধর্ষণের শিকার হন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মেয়েটি বরিশাল থেকে কিশোরগঞ্জে বাড়িতে আসার জন্য বুধবার বেলা ২টার দিকে ঢাকার বাসে ওঠেন। রাত ৯টার দিকে ঢাকার সায়েদাবাস বাসস্ট্যান্ডে আসেন। সায়েদাবাদ থেকে বাসে ভৈরবে পৌঁছান রাত ১২টায়। ভৈরব থেকে কিশোরগঞ্জে যাওয়ার বাস না থাকায় তিনি একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উঠেন। সেটিতে দুই পুরুষ ও এক নারী যাত্রী ছিলেন। কিছুদূর যাওয়ার পর চালক ফোন দিয়ে তার এক সহযোগীকে গাড়িতে তুলে নেন। দীর্ঘ ভ্রমণের কারণে বাদী ক্লান্ত থাকায় একপর্যায়ে গাড়িতে ঘুমিয়ে পড়েন। এরমধ্যে গাড়ির অন্য যাত্রীরা নেমে যান। ঘুম থেকে উঠে বাদী দেখেন, গাড়িতে তিনি এবং চালক ও ফোন করে আনা সহযোগী। রাত পৌনে ২টার দিকে কুলিয়ারচরের কলাকুপার চম্পাকান্দা এলাকায় মেয়েটিকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে একটি বাঁশঝাড়ের কাছে নিয়ে যান। সেখানে দুজন মিলে তাকে ধর্ষণ করেন। পরে তার কাছ থেকে মুঠোফোন ও টাকা কেড়ে নেয় তারা। গভীর রাতে তিনি একা হেঁটে যাওয়ার সময় পথে একজনের সঙ্গে দেখা হয়। তিনি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল দিলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।
কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সারোয়ার জাহান জানান, মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার হয়েছে। মেয়েটির মোবাইলটিও উদ্ধার করা হয়েছে। অপর ধর্ষকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :