চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় গড়ে উঠেছে বৈধ-অবৈধ প্রায় দুই ডজন মতো ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এসব প্রতিষ্ঠানে রোগ নির্ণয়ের নামে অসহায় রোগীদের কাছ থেকে নিচ্ছে গলা কাটা ফি। এক শ্রেণীর মুনাফা লোভী এসব ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে চিকিৎসা সেবার নামে গলাকাটা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।
সরকারী কোন ধরনের অনুমোদন ছাড়া প্রশাসনের নাগের ডগায় আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশে আনোয়ারা মা ও শিশু হাসপাতালে চলছে সেবার নামে গলা কাটা বাণিজ্য। আর চাতরী চৌমুহনী শেভরনে সরকারী সিআরপি ১৫০ টাকার ফি নিচ্ছে ৭৫০ টাকা, ইউআরসি এসিআইডি সরকারী ১০০ টাকা ফি শেভরনে নিচ্ছে ৩৭০ টাকা। এভাবে ইচ্ছে মতো ফি আদায় করলেও প্রশাসেনর কোনো ধরণের নজরদারি না থাকায় গলা কাঠা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো। এসমস্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো সাংবাদিকদের কে বিজ্ঞাপন দিয়ে অথবা মাসোহারা দিয়ে বশে নিয়ে নেন আর প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চালিয়ে যাচ্ছে অবাধে ব্যবসা।
আনোয়ারায় ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে প্রশাসনের নজরদারি করতে সচেতন মহল জোর দাবি জানিয়েছেন। অতীতের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের নিয়ে বিভিন্ন সময় ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে অনিয়ম তুলে ধরে মোটা অংকের জরিমানা করলেও বর্তমান ইউএনও ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কোনো ধরণের অভিযান পরিচালনা না করায় অবাধে পরিচালনা হচ্ছে এসমস্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো। গত ফেব্রুয়ারী মাসে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতাল পরিদর্শন করে ৮টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দিলে ও সেগুলো একদিনের জন্যও বন্ধ না হয়ে অদৃশ্য কারণে অবাধে চালু থাকে। সচেতন মহলের দাবি কিসের কারণে এই অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো বন্ধ হচ্ছে না তাহার মূলে হাত দিয়ে চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা বন্ধ করতে জেলা সিভিল সার্জনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এব্যাপারে আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ জানান, প্রতিটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোর নিয়ম হচ্ছে কোন পরীক্ষা কত টাকা সেটার একটা লিস্ট টাঙ্গিয়ে দেওয়া, তারপরে আমরা পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেবো বলে জানান তিনি।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :