আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি ও আমদানি করা পণ্য খালাসের দাবিতে দিনাজপুরের হিলিতে রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয়রা। এর ফলে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ঢাকার ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হয়েছে। এতে তীব্র গরমে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে হিলি রেলওয়ে স্টেশনে ‘তিতুমীর এক্সপ্রেস’ ট্রেন থামিয়ে অবরোধ করেন স্থানীয়রা। পরে খুলনাগামী রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনটিও স্টেশনে অবরোধের মুখে পড়ে।
এ দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায় ও রেলওয়ে শান্তাহার জংশনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর হাবিবুর রহমান। পরে আগামী ২০ দিনের মধ্যে যাত্রাবিরতি দেয়া হবে তাদের এমন আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন স্থানীয়রা।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন শিল্পী বলেন, ‘হিলি দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর। রয়েছে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট, যেখান দুদেশের মধ্যে প্রতিদিন শত শত পাসপোর্ট-যাত্রী যাতায়াত করেন। তা ছাড়া আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের কারণে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষকে আসতে হয় হিলিতে। অথচ আন্তঃনগর ট্রেনের কোনো স্টপেজ নেই। অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয় এসব সাধারণ মানুষকে।’
হিলি সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি ফেরদৌস রহমান বলেন, ‘এক সময় হিলিতে মালবাহী ট্রেনে ভারত থেকে পণ্য আসতো। সেগুলোর লোড-আনলোড হতো; লেবার শ্রমিকের কর্মযজ্ঞ তৈরিসহ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ছিল। বর্তমানে এখানে মালবাহী ট্রেন থামার অনুমতি বন্ধ। কেন বন্ধ করা হলো তা পরিষ্কার করে জানানো হয়নি।’
শান্তাহার জংশনের টিআইসি হাবিবুর রহমান নয়ন বলেন, ‘হিলি স্টেশনে সব আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি ও স্টেশন আধুনিকায়নের দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দারা রেললাইন অবরোধ করে রেখেছেন। এতে দুটি ট্রেন আটকা পড়েছে। পরে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সমাধান করা হবে।’
এই রেলস্টেশনের ওপর দিয়ে ঢাকা-পঞ্চগড়-রংপুর-চিলাহাটিগামী প্রায় ১৪ জোড়া ট্রেন চলাচল করে।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :