একটি রাস্তার জন্য পাঁচ হাজার মানুষের দুর্ভোগ। গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের পর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অদিদপ্তরের অর্থায়নে কাঁচা রাস্তাটিতে জরুরি ভিত্তিত্বে ইট বিছানো হয়েছে। এতে লাঘব হলো ২ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ।
জানা যায়, কৃষিপণ্য পরিবহণ ও শিক্ষার মানোন্নয়ণেন লক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অর্থায়নে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার ভাতুরিয়া ইউনিয়নের কাঁঠালডাঙ্গী এতিমখানা থেকে দিলগাঁও পর্যন্ত এক হাজার মিটার কাঁচা রাস্তাটিতে জরুরি ভিত্তিত্বে ইট বিছানো হয়েছে।
এতে কাঁঠালডাঙ্গী এতিমখানা এবং দিলগাঁও, কেবি কলেজ,কৃষি কলেজ সহ দুটি গ্রামের চার হাজার মানুষ সহ বিভিন্নশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘব হয়েছে। অন্যদিকে গ্রামের কৃষকরা কৃষি পণ্য পরিবহনের দীর্ঘদিনের জনদুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেল। ইট বিছানো রাস্তা হওয়ায় পাল্টেগেছে গ্রামীণ জনপদের চিত্র। এতে খুঁশি দুই গ্রামের মানুষ।
কৃষক করিম ও সাহিরুল দুলাল বলেন, আপনাদের লেখনির মাধ্যমে আমাদের ৫০ বছরের এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেয়েছি। রাস্তা ভালো হওয়ায় এখন যোগাযোগ ব্যবস্থা বৃদ্ধি পাবে। কৃষক এখন ফসলের ন্যায্যমুল্য পাবেন। কয়েকজন কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থী জানান, আগে রাস্তা দিয়ে যেতে অনেক কষ্ঠ হতো। অনেক সময় নষ্ট হত। রাস্তাটি হওয়ায় আমরা খুব খঁশি।
হরিপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এস এম এ করিম বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে গ্রমীন মাটির রাস্তা সমূহ টেকসই করণের লক্ষে কাঠালডাঙ্গী এতিমখানা থেকে দিলগাঁও পর্য়ন্ত এক হাজার মিটার কাচা রাস্তা ইট বিছিয়ে জনসাধারণের চলাচলের উপযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। মানুষ এখন এর সুফল ভোগ করবে। রাস্তাটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৮৪ লাখ ৪৮ হাজার টাকা।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :