কুষ্টিয়ায় এবার ২৩০টি মন্দিরে শারদীয় দূর্গোৎসবের দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে পূজা মন্দিরগুলোতে প্রতিমা তৈরীর কাজ শেষ হয়েছে। শুধুমাত্র রং তুলির কাজ বাঁকি রয়েছে। এর মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ৭২টি, খোকসা উপজেলায় ৬২টি, কুমারখালী উপজেলায় ৫৫টি, মিরপুর উপজেলায় ২৬টি, ভেড়ামারা উপজেলায় ৮টি ও দৌলতপুর উপজেলায় ৭টি মন্দিরে শারদীয় দূর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
কুষ্টিয়া শহরের গোপীনাথ জিউর মন্দির, সদরপুর সার্বজনীন পুজা মন্দির ও শহরতলীর বিভিন্ন পূজা মন্দির ঘুরে দেখা গেছে, ইতিমধ্যে অধিকাংশ মন্ডপে প্রতিমা তৈরীর কাজ শেষ হয়েছে। শুধুমাত্র রং তুলির আঁচরের কাজ বাঁকি রয়েছে।কুষ্টিয়া জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক এ্যাডঃ জয়দেব বিশ্বাস বলেন, এবার জেলায় ২৩০ টি পুজা মন্দিরে সরকারের সকল নির্দেশনা মোতাবেক পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী ৮ অক্টোবর বোধন পূজার মাধ্যমে শারদীয় দূর্গোৎসব শুরু হবে। ৯ অক্টোবর মহাষষ্ঠী, ১০ অক্টোবর মহাসপ্তমী, ১১ অক্টোবর মহাঅষ্টমী, ১২ অক্টোবর মহানবমী, ১৩ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শারদীয় দূর্গাপুজার পরিসমাপ্তি ঘটবে।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ভাতৃত্ববোধ বজায় রেখে সরকারি সকল নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করে শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গোৎসব উদযাপন করতে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ করা হয়েছে।
এছাড়া পূজা মন্দিরের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সদস্যদের পূজামন্দিরে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, স্বেচ্ছাসেবক ও গার্ড নিয়োগ এবং পূজা মন্দিরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা এবং সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পূজা মন্দিরে পালাক্রমে ডিউটির ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। কোথাও কোনো সমস্যা হলে দ্রুত সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের বিট অফিসার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পুলিশ সুপারকে অবহিত করার জন্য সকলকে পরামর্শ দেন হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রতিটি পূজা মন্দিরে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। পূজা মন্দিরে র্যাব, পুলিশ ছাড়া আনসার মোতায়েন করা হবে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :