শেরপুরের সদর উপজেলার বেতমারী হাওড়াপার ব্রীজ এলাকা থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে র্যাবের অভিযান চালিয়ে হত্যা মামলার পলাতক আসামি মনজিল হোসেনকে(২২)গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত জেল পলাতক মনজিল সদর উপজেলার ঘুঘুরাকান্দির ইয়ার মাহমুদের ছেলে।
র্যাব জানায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার পতনের পর গত ৫ আগস্ট বিকালে শেরপুর জেলা কারাগারে কয়েক হাজার দুষ্কৃতিকারী আক্রমন করে বিবিধ স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি সাধন পূর্বক সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বিভিন্ন মামলার ৫ শ ১৮ জন হাজতি ও কয়েদীকে পলায়ন করতে সহায়তা করে। এরপর থেকে জেল পলাতক আসামিদের আটক অভিযান শুরু করেছে র্যাব।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর কোম্পানি তথ্য প্রযুক্তি ও স্থানীয় সোর্সের সহায়তায় বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে জানতে পারে যে, তিনি শেরপুর জেলার সদর থানাধীন বেতমারী হাওড়াপার ব্রীজ এলাকায় অবস্থান করিতেছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে, র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর র্যাবের একটি আভিযানিক দল ২৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে শেরপুর জেলার সদর উপজেলার বেতমারী হাওড়াপার ব্রীজ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যা মামলার পলাতক বিচারাধীন হাজতী মনজিল হোসেন (২২) কে গ্রেফতার করেন ৷
এ ব্যাপারে র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক মেজর মোঃ আব্দুর রাজ্জাক জানান, গ্রেফতারকৃত হাজতি ঘটনার দিন অন্যান্য কয়েদীদের সাথে কৌশলে শেরপুর জেলা কারাগার থেকে পালিয়ে যায় এবং শেরপুর জেলাসহ আশেপাশের বিভিন্ন জেলায় আত্মগোপনে থাকে। আমরা তথ্য প্রযুক্তি ও স্থানীয় সোর্সের সহায়তায় বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতারের পর শেরপুর সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে ৷ জেল পলাতক এসব হাজতী ও কয়েদীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি ৷
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :