AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সিলেটের সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে ৮ জনের মৃত্যু


Ekushey Sangbad
জেলা প্রতিনিধি,সুনামগঞ্জ
০৬:০৪ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
সিলেটের সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে ৮ জনের মৃত্যু

সিলেট ও সুনামগঞ্জের পাঁচ উপজেলায় পৃথক ঘটনায় বজ্রপাতে ৮ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে সিলেটে তিনজন ও সুনামগঞ্জের পাঁচজন রয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাত থেকে রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর পর্যন্ত পৃথক সময়ে বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়।

জানা যায়, বজ্রপাতে সিলেটে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার ভোরে উপজেলার বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের সাড়ইল গ্রাম সংলগ্ন ডুবির হাওরে, দুপুরে সিলেট সদর উপজেলার কাটিমারা গ্রামে এবং কোম্পানীগঞ্জের রাজনগরে পৃথক বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়।

এ দিকে সুনামগঞ্জে শনিবার রাত থেকে বৃষ্টিসহ বজ্রপাত শুরু হয়ে রোববারও অব্যাহত ছিল। রোববার ভোর থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বজ্রপাতে তিন উপজেলার চার জেলের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে দোয়ারাবাজারে মাছ ধরার সময় দুই জেলে, জামালগঞ্জে এক, ছাতকে একজন মারা যান। তবে বিশ্বম্ভরপুরে আরেকজন মারা গেছেন। যদিও তার মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। বজ্রপাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তার মৃত্যু হতে পারে বলে বেশিরভাগ স্থানীয় ব্যক্তি দাবি করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিশ্বনাথে নিহত রেদওয়ান আহমদ (১৯) সাড়ইল গ্রামের ওলিউর রহমানের ছেলে এবং সিলেট এমসি কলেজের বিএসএস প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। আর সিলেট সদর উপজেলায় নিহত আনছার আলী (৫৫) পেশায় দিনমজুর। কোম্পানীগঞ্জে মারা যান মাসুক আহমেদ (৪১) নামে এক ব্যক্তি।

সিলেট সদর উপজেলার খাদিমপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ফরিদ আহমেদ বলেন, গত রাত থেকে সিলেটে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলেও সকাল থেকে বজ্র বৃষ্টি হচ্ছিল। দুপুরে নিজ বাড়ির পাশে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান আনছার আলী। তিনি পেশায় দিনমজুর। বজ্রপাতে তার শরীর ঝলসে গেছে।

আরও জানা যায়, রোববার সকাল ৭টায় সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের পলিরচর গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে জালাল মিয়া (৩০) ও একই গ্রামের নুরুল হকের ছেলে জসিম উদ্দিন (২৮) বাড়ির পাশের হাওরে মাছ ধরতে যায়। এ সময় বজ্রপাতে মৃত্যু হয় তাদের। জামালগঞ্জে ভোর রাতে আরেক বজ্রপাতের ঘটনায় শরিফ মিয়া (৩৫) নামের আরেক জেলের মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার কালাগোজা গ্রামের আব্দুল লতিফ মিয়ার ছেলে। বাড়ির পাশের নয়াহাওরে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে মারা যান তিনি। এ ছাড়া ছাতক উপজেলার ৩ নম্বর সদর ইউনিয়নের মল্লিকপুর গ্রামের বাসিন্দা সুন্দর আলী নামে আরেক জেলে মারা গেছেন। বাড়ির পাশের হাওরে সকালে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতের শিকার হন তিনি।

অপরদিকে বিশ্বম্ভরপুরে বজ্রপাতে মারা যাওয়া ব্যক্তির সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয়দের মধ্যে কেউ কেউ ধারণা করছেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যু হয়েছে তার। তবে বেশির ভাগ মানুষের ধারণা, বজ্রপাতেই মারা গেছেন তিনি।

দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল হক, জামালগঞ্জ থানার ওসি এসএম কামাল হোসেন ও ছাতক থানার ওসি গোলাম কিবরিয়া হাসান বজ্রপাতে নিজ নিজ এলাকার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

যদিও সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন রোববার দুপুরে বলেন, সুনামগঞ্জের তিন উপজেলায় বজ্রপাতে চারজন জেলে মারা গেছেন। এ ছাড়া বিশ্বম্ভরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একজন মারা গেছেন। তবে বিশ্বম্ভরপুরের স্থানীয় অনেকেই ওই ব্যক্তির মৃত্যুকে বজ্রপাতেই মারা গেছেন বলে দাবি করছেন। মৃতদের ব্যাপারে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

 

Link copied!