কর্ণফুলী নদীর উপর কালুরঘাট সেতু দ্রুত নির্মাণের দাবিতে আজ চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের পক্ষ থেকে রেলওয়ে মন্ত্রনালয়ের সচিব বরাবর এক স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। চট্টগ্রাম রেলওয়ে বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ নাজমুল ইসলামের মাধ্যমে এই স্মারকলিপি প্রদান করেন ফোরামের মহাসচিব মো. কামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন নুর মোহাম্মদ নুর আলী, একেএম ওসমান গনি,কামরুল ইসলাম , মোহাম্মদ মুনচুর আলম, মাসুদ খাঁন, তসলিম খাঁ, মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন খন্দকার, আশিফ, মোহাম্মদ আকতার হোসেন,পংকজ রাহুল, ইব্রাহিম, মিলন প্রমুখ।
স্মারক লিপিতে উল্লেখ করা হয় যে, কালুরঘাট সেতুটি ১৯৩০ সালে নির্মিত এবং বর্তমানে এটি অত্যন্ত জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে, যা স্থানীয় জনসাধারণ এবং যাত্রীদের যাতায়াতে খুবই বিপজ্জনক। চট্টগ্রাম থেকে কসবাজার পর্যন্ত রেলপথ চালু থাকার পরেও কালুরঘাটে একটি আধুনিক সেতুর অভাবে যথাযথ রেল ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠতে পারছে না। নাগরিক ফোরামের দাবি, পুরোনো সেতুটি প্রতিস্থাপন করে ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে নতুন সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করতে হবে এবং ২০২৮ সালের মধ্যে এই কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সেতু নির্মাণে কালক্ষেপণের প্রভাব, সেতু নির্মাণের প্রকল্পটি অনেক বছর ধরে ঝুলে আছে এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের গাফিলতির কারণে এই প্রকল্পের ব্যয়ও বেড়ে গেছে। সেতুটি দ্রুত নির্মাণ না হলে এই অঞ্চলের রেল যোগাযোগ এবং সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকবে। বিশেষ করে, কঙবাজারের পর্যটন শিল্প এবং দক্ষিণ চট্টগ্রামের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। ফোরামের পক্ষ থেকে জানানো হয় এই প্রকল্পের কাজ বিলম্বিত হওয়ায় এর ব্যয়ও বেড়ে গেছে, যা চট্টগ্রামবাসীর জন্য দুঃখজনক। সেতুর কাজ দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করার জন্য সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সহায়তা নেওয়া, প্রকল্পটি দ্রুত একনেকের মাধ্যমে অনুমোদন করে নির্মাণ কাজ শুরু করা, চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের এই ন্যায্য দাবি পূরণ করতে হলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সরাসরি হস্তক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি।
রেলওয়ে জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম স্মারকলিপি গ্রহণকালে বলেন, সরকার কালুরঘাট সেতু নির্মাণের বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং শীঘ্রই কাজ শুরু করা হবে। কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়নে সরকার যথেষ্ট আন্তরিক, বিশেষ করে আমাদের সচিব ইতিমধ্যে কালুরঘাট সেতু এলাকা পরিদর্শন করে গেছেন, তিনি সমস্যা সমাধানের জন্য প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনুসের সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করবেন, নাগরিক ফোরামের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা সরকারের এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানাবে এবং এর দ্রুত বাস্তবায়ন দেখতে চায়। সেতুটি নির্মাণ হলে দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষও যেমন উপকৃত হবে, তেমনি কঙবাজারের পর্যটন শিল্পও নতুন মাত্রা পাবে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :