একুশে পদকপ্রাপ্ত উপমহাদেশের প্রখ্যাত ঢোলবাদক বিনয়বাঁশী জলদাসের ১১৩তম জন্মদিবস বোয়ালখালী পৌরসভায় শিল্পীর বাস্তুভিটায় সমাধি প্রাঙ্গণে ভাস্কর্য চত্বরে পালন করা হয়।এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকাল ১০টায় বিনয়বাঁশী শিল্পীগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে শিল্পীর ভাস্কর্যে পুষ্পমাল্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, কেক কাটা, সংগীত ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিনয়বাঁশী শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি অনুপম বড়ুয়া পারু`র সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন শিল্পীর ছেলে আন্তর্জাতিক ঢোলবাদক লোকশিল্পী শ্রী বাবুল জলদাস এবং শিল্পীগোষ্ঠীর পরিচালক ও সাধারণ সম্পাদক শিল্পী শ্রী বিপ্লব জলদাস।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ কালীপদ দাস সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিধান দাস, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক দোলন জলদাস, সংগঠনের নির্বাহী সদস্য নীলা দাস মনি, অর্পিতা ঘোষ, প্রীতি দাস, পূজা চৌধুরী, বিশ্বজিৎ দাস শান্তু, শুভ দাস, বর্ষা দাশ, ঋত্বিকা দাস, রিপা দাস, পুষ্পিতা দাশ পূর্ণতা, মন্দিরা দাস, নমিতা দাস, নন্দিনী দাস, নন্দন দাস, প্রমুখ।
সভায় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন আজকের এই অস্থির সময়ে বিনয় বাঁশীর শিল্পকর্ম চর্চা বেশি প্রয়োজন। যেভাবে সমাজে কুসংস্কার অন্ধবিশ্বাস ও সংস্কৃতি বিমূকতা বিরাজ করছে সেখানে বিনয় বাঁশীর চর্চা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। সমাজকে আলোকিত করতে হলে অন্ধকার দূর করতে হলে ও সমাজকে মাদক মুক্ত রাখতে হলে বিনয় বাঁশীর আলোয় আলোকিত হতে হবে। বিনয়বাঁশীকে সাথে রাখতে হবে। রমেশ শীল, শেফালী ঘোষ ও বিনয় বাঁশীর উর্বরভূমি এই বোয়ালখালী। এই গুণী শিল্পীরাই বোয়ালখালী তথা পুরো দেশকে সমৃদ্ধ করেছে।
উল্লেখ্য বাদনশিল্পী বিনয়বাঁশী জলদাস ১৯১১ সালে বোয়ালখালীর পূর্ব গোমদন্ডী ছন্দারিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। এ ঢোলবাদনের নৈপূর্ণতা ২০০১ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন। ২০০২ সালের ৫ এপ্রিল তিনি মৃত্যুবরণ করেন।" বিজ্ঞপ্তি
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :