AB Bank
ঢাকা মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর, ২০২৪, ১৬ আশ্বিন ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

রাজশাহী মাউশির ডিডির অপসারণ চায় শিক্ষক সমিতি


Ekushey Sangbad
সারোয়ার হোসেন, তানোর, রাজশাহী
০৬:১৯ পিএম, ১ অক্টোবর, ২০২৪
রাজশাহী মাউশির ডিডির অপসারণ চায় শিক্ষক সমিতি

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের রাজশাহী অঞ্চলের উপ-পরিচালক (ভিডি) ড. শরমিন ফেরদৌস চৌধুরীর, অপসারণ চেয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। চলতি বছরের ১৪ আগষ্ট রাজশাহী জেলা ও মহানগর শিক্ষক সমিতি (বাশিস) এই অভিযোগ করেছেন।

এদিকে শিক্ষকদের করা অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, ড. শরমিন ফেরদৌস চৌধুরী প্রায় ১৪ বছর ধরে উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত), মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা, রাজশাহী অঞ্চল, রাজশাহীতে কর্মরত আছেন। তাঁর অত্যাচারে  রাজশাহী অঞ্চলের সকল শিক্ষক কর্মচারী বিভিন্ন ভাবে হয়রানি ও নাজেহাল হয়ে আসছেন। তিনি সরকারি বিধি অমান্য করে বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন, উচ্চতর স্কেল প্রাপ্তির ফাইল বাতিল করেন এবং পরবর্তীতে দালালের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে কাজ গুলো করে থাকেন। উদাহরণ স্বরূপ স্নাতক পর্যায়ের মার্কসিটে Chemistry di স্কুলে সংক্ষেপে Chem লেখা আছে। পূর্ণ Chemistry লেখা নাই তাই তিনি Chem কে রসায়ন নয় ধরে ফাইল বাতিল করেন এরকম অসংখ্য উদাহরণ আছে। তাছাড়া তার অধীনন্ত অফিসার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের। সকল শিক্ষক কর্মচারীদেরকে তুই-তুকারি করে অবজ্ঞা করে থাকেন। একাধিকবার তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ এবং মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেও কাজ হয় নি। কোন এক অদৃশ্য শক্তির বিনিময়ে সকলকে বৃদ্ধা আঙ্গুলী দেখিয়ে এখানো বহাল তবিওয়তে রয়েছেন।

মহানগর শাখার শিক্ষক সমিতির সম্পাদক এমএ কাইউম বলেন, অভিযোগ দেয়া অনেকদিন হয়েছে। এসময় কেন খবর প্রকাশ করবেন। তিনি অবশ্য শহরে চা খাওয়ার দাওয়াত দেন। মহানগর শাখার সভাপতি আসাদুজ্জামান আখন্দ বলেন, অভিযোগ দেয়া হয়েছিল, আমি অসুস্থ থাকার কারনে খোঁজ খবর নেয়া হয়নি।

মাউশির রাজশাহী অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর ড বিশ্বজিৎ ব্যানার্জীর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর কর্তৃপক্ষ কে দেয়া হয়েছে। কারন আমার কোন ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা নেই।

সুত্র জানায়, মাউশির ডিডি আগামী বছরের ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত চাকুরী আছে। যার কারনে অভিযোগের বিষয়ে বিএনপির এক সিনিয়র নেতার স্ত্রী বসে মিমাংসা করে দিয়েছেন। যার কারনে অভিযোগের বিষয় টি গুরুত্ব দেন কর্তৃপক্ষ বলেও অভিযোগ উঠেছে।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিডি শরমিন ফেরদৌস চৌধুরী বলেন, ‍‍`সনদ যাচাইয়ের প্রথম কজ স্কুল কমিটির পরে উপজেলা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হয়ে ৬৭টি উপজেলার কাগজপত্র আমার কাছে আসে। যেগুলো অনলাইনে যাচাই করার সুযোগ থাকে, সেগুলো আমরা করি। অনেক পুরোনো সনদ অনলাইনে যাচাইয়ের সুযোগ থাকে না। সেটা আমরা করিও না। ফাইল আসার পর ১০ দিনের মধ্যে আমাকে অগ্রগামী করতে হয়। আমি এত যাচাই করতে গেলে ১০ দিনে ১০টা ফাইলের কাজও শেষ করতে পারব না।‍‍`তিনি বলেন, ‍‍`তিন ধাপ পেরিয়ে যখন কাগজ আমার কাছে আসে, তখন এটাকে সঠিক বলেই ধরে নেওয়া যায়। সনদ জাল হলে এর জন্য একমাত্র দায়ী প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক। আমার দায় নেই।‍‍` অনিয়মের মাধ্যমে এমপিও করে দেওয়ার অভিযোগ তিনি পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন। শিক্ষক সমিতির করা অভিযোগ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বলে তিনি দাবি করেছেন। একই দপ্তরে ড, শরমিন ফেরদৌসের ১১ বছর ধরে থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরকারি মাধ্যমিক অধিশাখার যুগ্মসচিব মো. আবদুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।

 

একুশে সংবাদ/এনএস

Link copied!