চাষে নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। মাঠে মাঠে দুলছে আমনের চারা। এনিয়ে এলাকার কৃষকরা এখন চরম ব্যস্ত সময় পার করছেন। আমতলী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় এবারে উপজেলার ৭ ইউনিয়নে ও ১টি পৌরসভায় ২৩ হাজার ৩৮১ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ শেষ হয়েছে।
অতিবৃষ্টির কারণে আমন চাষে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে বলে উপজেলার কৃষকরা জানিয়েছেন।কৃষি বিভাগের তথ্য মতে উপজেলার ৭ ইউনিয়নের ও ১টি পৌরসভায় জমিতে সর্বাধিক পরিমাণ জমিতে আন ধানের চাষ হয়ে থাকে।
এসব এলাকার মাঠগুলোতে চাষকৃত আমন ধানের মধ্যে , বি আর -২২ বি আর -২৩ ব্রি -৪৯ ব্রি-৫২-ব্রি- ৮৭ ও স্থানীয় স্বর্নাগোটাসহ সহউচ্চ ফলনশীল অনেক জাতের হাইব্রিড ধানেরও চাষ হয়ে থাকে। মৌসুমের শুরুর দিকে অতি বর্ষণের কারনে তলিয়ে গেছিলো আমনের ক্ষেত।ফলে হাজার হাজার কৃষকদের মাঝে আমন চাষ নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়। সম্প্রতি এসব মাঠ থেকে বৃষ্টির পানি নেমে যাওয়ায় ওই
কৃষকদের মাঝে বইছে আনন্দের ঢেউ। প্রতিকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি না হলে এবারে এ উপজেলায় আমনে বাম্পার ফলন হবে বলে কৃষকরা আশা করছেন।
উপজেলার সোনাখালী গ্রামের কৃষক জালাল আহমেদ বলেন, আমন ধানের চারা রোপণ শেষ হয়েছে।হলদিয়ার কৃষক সুমন মিয়া বলেন, আল্লাহর রহমতে আমন ধানের চারা রোপন করা শেষ হয়েছে। আশাকরি ভাল ফলন হবে।
আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার মো. ঈসা বলেন, কৃষকদের আমনধান চাষে উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন সময় কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও সরকারিভাবে প্রণোদণা দেয়া হয়েছে।
অল্প খরচে অধিক ফলন যাতে কৃষকরা পান এজন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে তারা উদ্বুদ্ধ করেছেন।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :