নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা আয়োজনের সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ। ৯ অক্টোবর থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকের বাদ্যে মেতে ওঠবে উপজেলার হাজারো সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।দেবী দুর্গার আগমনে দূর হবে সকল অশুভ শক্তি।
জানা যায় গতবছর মোট ৫১ টি পূজা মন্ডপে শারদীয় তিথিতে দুর্গাপূজা উদযাপিত হলেও এবছর ১৫ পূজা মন্ডপ কমে ৩৬ পূজা মন্ডপে পূজার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে অধিক গুরুত্বপূর্ণ ৮ টি, গুরুত্বপূর্ণ ৮ টি ও সাধারণ পূজা মন্ডপ রয়েছে ২০ টি।
পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি সম্পর্কে কেন্দুয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অনিল চন্দ্র ভদ্র বলেন, গতবছর ৫১ পূজা মন্ডপে পুজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল, এবছর ১৫ পূজা মন্ডপ কমে ৩৬ মন্ডপে পূজা হবে। কারণ পারিবারিক সমস্যা,বন্যা এবং দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্ব গতির জন্য কমেছে বলে আমি মনে করি।
কেন্দুয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সজল কুমার সরকার বলেন, গতবার ৫১ টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল,তবে এবার ৩৬ পূজা মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।যা গতবারের চেয়ে ১৫টি কম।কারণ হিসেবে তিনি বলেন মা বাবা মারা যাওয়া, মন্দির পূণ: নির্মাণ, হাওর এলাকায় বন্যা, পারিবারিক ভাবে যারা আগে পুজা করতেন এবার তাদের অনাগ্রহ সহ নানা কারণে পূজা মন্ডপের সংখ্যা কমেছে।
তিনি আরো বলেন কেন্দুয়া পূজা উদযাপন পরিষদ স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে প্রতিটি পূজা মন্ডপের খোঁজ খবর নিচ্ছি। আমাদের স্বেচ্ছাসেবক দল সেবা দেয়ার জন্য তৈরি আছে।তাছাড়া প্রতিটি পূজা মন্ডপেই শান্তি -শৃঙ্খলা বজায় রেখে পূজা উদযাপিত হবে। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবার অংশগ্রহণে বাঙালি সম্প্রীতি আরো সুদৃঢ় বন্ধনে আবদ্ধ হবে প্রত্যাশা করি।আশা করছি আগামী বছর ৫১ পুজা মন্ডপেই পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদার বলেন মূলত অর্থনৈতিক মন্দার করণে কেন্দুয়ায় গতবছরে চেয়ে এ বছর ১৫ পূজা মন্ডপে পুজা কম হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি। তাছাড়া এবছরের দুর্গাপূজার সর্বাত্মক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানান তিনি।
কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান জানান, আসন্ন দুর্গাপূজার সর্বাত্মক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি সুষ্ঠু ও শান্তি পূর্ণ ভাবে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :