AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

নরসিংদীর রেললাইনে পড়ে থাকা ৫ মরদেহের পরিচয় শনাক্ত


Ekushey Sangbad
সাব্বির হোসেন, পলাশ, নরসিংদী
১০:১৭ পিএম, ৩ অক্টোবর, ২০২৪
নরসিংদীর রেললাইনে পড়ে থাকা ৫ মরদেহের পরিচয় শনাক্ত

নরসিংদীর রায়পুরায় রেললাইন পড়ে থাকা অজ্ঞাত ৫ মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করেছে রেলওয়ে পুলিশ। ঘটনার পর বিভিন্ন স্টেশনে ঘুরে ঘুরে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে তাদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম।

নিহতরা হলো, সিলেটের কুমারপাড়া এলাকার আব্দুল্লাহ ওরফে সাব্বির (১৬), হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানার হরেপুর গ্রামের আরিফ মিয়ার ছেলে রাব্বি (১৫), মৌলভীবাজারের কুলাউড়া রেলস্টেশন এলাকার সিয়াম (১৪), ময়মনসিংহ বাসস্ট্যান্ড এলাকার আল-আমিন (১২) এবং সেলিম (২৫)।

চলতি বছরের ৮ জুলাই সকাল সাড়ে ৮ টায় রায়পুরা উপজেলার মেথিকান্দার রেলগেট এলাকায় পলাশতলী ইউনিয়নের কমলপুরে রেল লাইনের ১৫ গজের মধ্যে  ছিন্নবিচ্ছিন্ন ৫টি মরদেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। তাদের মধ্যে তিনজনেরই শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন ছিল, দুজনের শরীর দ্বিখণ্ডিত ছিল এবং এদের মধ্যে চারজনেরই হাত-পা বিচ্ছিন্ন ছিল।

পরে খবর পেয়ে রেলওয়ে পুলিশ, পিবিআই, রায়পুরা ও জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল এসে মরদেহ উদ্ধারে কাজ শুরু করেন। একই সঙ্গে মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কাজ শুরু করেন। তবে নিহতদের সঙ্গে কোন মানিব্যাগ, টাকা কিংবা মোবাইল পাওয়া যায়নি। এতে ঘটনাটি নিয়ে তদন্তকারীদের মধ্যে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়। তাই পুলিশ তাদের পরিচয় নিশ্চিতে কাজ শুরু করে।

রেলওয়ে পুলিশ জানায়, নিহতরা রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন ও খিলগাঁও তালতলা বস্তিতে থাকতো। তারা ভিক্ষা, বোতল টোকানো ও কমলাপুর রেলস্টেশনে ট্রেনে পানি ভর্তির কাজে সহায়তা করে জীবিকা নির্বাহ করতো। গত ৭ জুলাই রাতে সাব্বির, রাব্বি, সেলিম, আল-আমিন, সিয়াম ও ফয়েজুর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ট্রেনে করে আখাউড়া স্টেশনে যায়। পথে ফয়েজুর নরসিংদী স্টেশনে নেমে যায়। 

রাত একটার দিকে পাঁচজন আখাউড়া থেকে ঢাকাগামী নোয়াখালী এক্সপ্রেসে গাঁজা খেয়ে ছাদে উঠে। নেশা জাতীয় ডেন্ডি পলিথিনের ভেতর ঢুকিয়ে নেশা করতে থাকে। ট্রেনটি মেথিকান্দা রেলস্টেশন পার হওয়ার সময় ছাদ থেকে তাদের একজন পড়ে যাচ্ছিল এমন সময় রাব্বি তাকে টেনে তোলার চেষ্টা করে। কিন্তু সে টেনে না তুলতে পারলে সবাই তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করার সময় ছাদ থেকে পাঁচজনই চলন্ত ট্রেনের নিচে পড়ে গিয়ে মারা যায়। এ সময় ছাদে থাকা টোকাই আরিফুল সব কিছু দেখতে পায়। পরে সে তার বাড়ি খিলগাঁও তালতলাতে চলে যায়। পরে সে তার সঙ্গে থাকা টোকাইদের বিষয়টি জানায়। পরে নিহতদের পরিচিত টোকাই রিফাত তাদের শনাক্ত করে।

এ ঘটনায় রায়পুরা উপজেলার মেথিকান্দা স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আশরাফ আলী বাদী হয় ভৈরব রেলওয়ে থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেন।

নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর পিবিআই হাতের ছাপ সংগ্রহ করলেও তদের পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি। ধারণা করা হয় তাদের কোনো জাতীয় পরিচয়পত্র নেই। পরে রেলওয়ের বিভিন্ন থানায় ছবি পাঠিয়ে আমরা কোনো সাড়া পাইনি। তাদের মরদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়।  

পরে রেলওয়ে পুলিশ টঙ্গী রেলস্টেশনে দোকানদার, হকার, টোকাইসহ ভাসমান সবাইকে ছবি দেখানো হয়। ব্যাপক খোঁজাখুঁজির পর নিহতদের পরিচয় ও ঘটনা সম্পর্কে জানা যায়। মারা যাওয়ার আগে তারা ট্রেনের ছাদে বসে নেশা করছিল। পরে ট্রেনটি মেথিকান্দা অতিক্রম করার সময় একজন ছাদ থেকে পড়ে যাচ্ছিল, তাকে বাঁচাতে গিয়েই পাঁচজন একসঙ্গে নিচে পড়ে মারা গেছে। এ ঘটনায় আমরা এখনো ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা রিপোর্ট পাইনি। এগুলোর রিপোর্ট পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!