ইউনিয়নে ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি ও অতি বর্ষনের ফলে ব্যাপক আকারে বন্যার সৃষ্টি হয়। উল্লেখ্য ভারত থেকে ৫ টি নদী ৭ টি ঝর্ণা দিয়ে প্রবল বেগে বন্যার পানি প্রবাহের ফলে নদীগুলির উভয় পাড় ভেঙ্গে বন্যার পানি সদর উপজেলা সহ প্রায় সমস্ত এলাকা প্লাবিত হয়।
এতে বহু আমন ফসল পানিতে তলিয়ে যায় এবং বহু পুকুর ডুবে যায়। ফলে কৃষক ও মৎস্য খামারীরা ব্যাপক ক্ষতির মূখে পরেছে। এছাড়াও পানি প্রবল বেগে প্রবাহিত হওয়ার কারনে বহু রাস্তা ঘাট পুল কালবার্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চলতি বছরের দ্বিতীয় দফা বন্যায় আমন ফসল অপূরণীয় ক্ষতির মুখে পরেছে।
এতে কৃষকের মাঝে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। প্রকাশ থাকে যে ভারত সীমান্ত ঘেষা ঝিনাইগাতী উপজেলার মধ্যে দিয়ে ৫ টি নদী ভারতের আসাম ও মেঘালয় থেকে উৎপত্তি হয়ে বাংলাদেশে প্রবাহিত হয়েছে। উজানে বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হলেই ঢলের পানি নদি দিয়ে প্রবাহিত হয়। নদির ধারন ক্ষমতা না থাকায় নদির উভয় পাড় ভেঙ্গে ব্যাপক বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এতে যে সমস্ত এলাকাবাসী পানি বন্দি হয়ে পরেছে। সে সমস্ত এলাকাগুলো হলো দিঘির পার, চতল, জিগাতলা, সুরিহারা, কালিনগর, রামনগর, কান্দুলি, কোনাগাও, দুপুরিয়া সহ বহু এলাকা।
মহারশি নদির উভয় পাশে খবর লিখা পযর্ন্ত ৮/১০ টি বাড়ি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এছাড়া বন্যার পানিতে গাছ পালা ঘর বাড়ির আসবাবপত্র সহ নানা কিছু ভেসে যেতে দেখা গেছে। বন্যার পানি ঘর-বাড়ির ৪/৫ ফিট উচু দিয়ে প্রবাহের কারনে খাদ্য ও পানির সংকটে পরেছে বন্যার্তরা। এখন পযর্ন্ত সরকারি বা বেসরকারী ভাবে কোন প্রকার ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়নি। সূত্র মতে জানা গেছে উপজেলার ৫ টি নদির উভয় পার্শে অর্ধশত ভাঙ্গনের কারনে ক্ষয় ক্ষতির পরিমান বেশি হয়েছে। মহারশি নদীর উভয় পার্শে ১০ টির বেশি ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ঝিনাইগাতী বাজারে বন্যার পানি প্রবেশ করে। ব্যাবসায়িদের সাথে কথা বলে জানা যায় বাজারের ২ শতাধিক দোকান পাটে মালামালের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ক্ষতির পরিমান কয়েক কোটি টাকা। এবং গতকাল রাত থেকে ঝিনাইগাতী উপজেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। এলাকাবাসির দাবি অবিলম্বে নদীগুলোর বেড়িবাঁধ দেওয়া অত্যন্ত জরুরি, না হলে প্রতিবছর ক্ষতির মূখে পরতে হবে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :