বগুড়ার আদমদীঘিতে ৮ আগস্ট বেলা ১১ টায় বৈষম্যবিরোধী শান্তিপুর্ন ছাত্র আন্দোলকে চানচাল ও ঠেকানোর জন্য আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পেট্রোল, শাবল, ককটেল ও লাঠী সোডাসহ ধারালো অস্ত্রে শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিভিন্ন উস্কানিমূলক স্লোগান দিয়ে উপজেলা সদরের বিএনপি দলীয় কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান মাসুদকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার ষ্টেশন বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল শুক্রবার সকালে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে বগুড়া আদালতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃত মাসুদ উপজেলা সদরের তালশন গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে ও আদমদীঘি উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি।
আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গত ৪ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে আদমদীঘিতে বৈষম্যবিরোধী শান্তিপুর্ন ছাত্র আন্দোলনকে বানচাল ও ঠেকানোর জন্য আসামীরা পেট্রোল, শাবল, ককটেল ও লাঠী সোডাসহ ধারালো অস্ত্রে শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বেআইনী ভাবে দলবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন উস্কানিমুলক স্লোগান দিয়ে আদমদীঘিস্থ বিএনপির দলীয় অফিসের সামনে এসে ককটেল নিক্ষেপ ও বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতংকের সৃষ্টি করে। এ সময় বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা নিরাপদ দুরন্তে চলে যায়। পরে হামলাকারীরা বিএনপি অফিসে প্রবেশ করে দরজা, জানালা ভাংচুর, কাঠের আলমারী, চেয়ার, ফ্যানসহ অন্যান্য আসবাবপত্র ও জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি ঘর থেকে বের করে তাতে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগে পুড়ে ছাই করে ফেলে। এতে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে বলে এজাহারে দাবী করা হয়।
মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আসামী মাসুদকে উপজেলা রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :