জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস-২০২৪ উপলক্ষে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে র্যালী ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (০৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা পরিষদ চত্ত্বর থেকে একটি র্যালী বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ হল রুমে আলোচনা সভায় মিলিত হয় ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাখী ব্যানার্জীর সভাপতিত্বে ও শ্রীপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব আশরাফ হোসেন পল্টুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সালমা জাহান নিপা, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুর রশীদ, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা বিআরডিবি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কোহিনুর জাহান, সহকারি শিক্ষা অফিসার দীপ্তি রানী কর, উপজেলা সহকারি প্রোগ্রামার (আইসিটি) আহমেদ মাহফুজ,উপ-সহকারি প্রকৌশলী অমিতাভ সরকার, সব্দালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পান্না খাতুন,শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক বিশ্বাস, সব্দালপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আওয়াল হোসেন, নাকোল ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আলতাফ হোসন ও উদ্যোক্তা রমজান আলী প্রমুখ। এছাড়াও উপজেলার আটটি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও উদ্যোক্তা ও সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভা শেষে গত সেপ্টেম্বর মাসের তথ্য অনুযায়ী বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী তিনটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ট্যাগ অফিসার,সচিব, উদ্যোক্তা ও গ্রামপুলিশদের অংশগ্রহনে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাখী ব্যানার্জী।
উম্মুক্ত আলোচনায় কৃষিবিদ সালমা জাহান নিপা বলেন, জন্ম নিবন্ধন করানো মানেই একটা শিশু আইনী পরিচয় দেওয়া। এটা মানুষকে বুঝতে হবে। আগে মানুষের মধ্যে সচেতনতা কম থাকায় জন্ম-নিবন্ধনে তেমন কোন গুরুত্ব দেওয়া হত না। বর্তমান পেক্ষাপটে জন্ম , মৃত্যু নিবন্ধন বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ একটি বিষয় । সে কারণে এখন থেকেই শিশুদের জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন সম্পর্কে সকল বাবা-মা কে আরো সচেতন হতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাখী ব্যানার্জি বলেন, যখন আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের দ্বায়িত্বশীলরা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তথ্য নিয়েছেন তখন জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনের গুরুত্ব অনেকেই বুঝে নাই। সঠিক তথ্য দিতেও অনেকে অবহেলা করেছে। যার কারণে কিছু ভূল তথ্য চলে এসেছে। তবে সেগুলো সংশোধন যোগ্য হলে সেটি করার সুযোগ রয়েছে। তবে কিছু ভূল সংশোধন করতে গেলে আইনের মধ্য থেকে করতে হয় সেগুলো সংশোধন যোগ্য হলে সঠিক তথ্য মিলিয়ে সংশোধন করা হয়। এছাড়াও তিনি মাগুরা জেলা খুলনা বিভাগের মধ্যে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনে শতকরা ১০০ ভাগ পয়েন্ট অর্জন ভালো একটি পর্যায়ে স্থান করে নেওয়ার ক্ষেত্রে শ্রীপুর উপজেলার আটটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সচিবদের প্রতি আহ্বান জানান।
একুশে সংবাদ/ এস কে
একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
আপনার মতামত লিখুন :