নরসিংদীর পলাশের বাজারে বেড়েছে চাল, মুরগি, ডিম, কাঁচামরিচ ও বিভিন্ন সবজির দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে সরু ও মোটা চাল কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে। ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ২৫ টাকা। প্রতি হালি ডিমে বেড়েছে ৫ টাকা। কাঁচামরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়। মাছের বাজারও চড়া। নিত্যপণ্যের এমন লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা হয়ে পরেছে নিন্ম ও মধ্যবিত্তরা।
বাজারের বিক্রেতারাই বলছেন, ডিম ও মুরগি ও কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। এক সপ্তাহ ধরে এসব কিনতে কষ্ট হচ্ছে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের। অনেক ক্রেতা এসবের দাম শুনে না কিনেই ফিরে যাচ্ছেন।
রবিবার (৬ অক্টোবর) পলাশ উপজেলার বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেগুন প্রতি কেজি ৮০ টাকা, টমেটো ১৬০ টাকা, পটল দেশি ৮০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ৪০০ টাকা, শশা ৬০ টাকা, গাজর ১৬০ টাকা, ধনে পাতা ৪০০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৮০ টাকা, চিচিঙা ৭০ টাকা, ঝিঙে ৮০ টাকা, বরবটি ১৪০ টাকা, কাকরোল ৮০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা ও চাল কুমড়া ৫০ টাকা, দোশি ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে আলু প্রতি কেজি ৬০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ১০০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৯০ টাকা, দেশি আদা ২০০ টাকা, চীনা আদা ২৪০ টাকা, দেশি রসুন ২৩০ টাকা, চীনা রসুন ২২০ টাকা, প্যাকেট আটা ৫০ টাকা, প্যাকেট ময়দা ৬৫ টাকা, খোলা চিনি ১৩০ টাকা, প্যাকেট চিনি ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মোটা দানার মসুর ডাল ১১৫ টাকা ও ছোট দানার মসুর ডাল ১৪০ টাকা কেজি নেওয়া হচ্ছে।
চাল ব্যবসায়ী শুভ্রত চন্দ্র বলেন, বাজারে চালের দাম বেড়েছে। খুচরা বাজারে সরু মিনিকেট চাল ২ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকা। একইভাবে ২-৩ টাকা বেড়ে ভালো মানের বিআর-২৮ চাল কেজি বিক্রি হচ্ছে, ৫৫-৬০ টাকা।
খোলা সোয়াবিন তেলের দামও সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি ৬ টাকা বেড়ে ১৬৫ টাকা, পাম অয়েল কেজি প্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়ে ১৬৫ টাকা।
মুরগি ব্যবসয়াী আদেল মিয়া জানান, ফারমের মুরগির দামও বেড়েছে। সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ১৫ টাকা বেড়ে ২৮০ টাকা, ব্রয়লার ১৫ টাকা বেড়ে ১৫০ টাকা ও কক বা লেয়ার ২৬০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের ডিমের হালিতে ৫ টাকা বেড়েছে। প্রতি হালি ডিম এখন, ৬০ টাকা। গরুর মাংসের দাম অপরিবর্তীত রয়েছে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা। আর খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকায়।
ঘোড়াশাল সাদ্দাম বাজারের মাছ ব্যবসায়ী বিদ্যুৎ দাস বলেন, বাজারে মাছের দামও চড়া। মাঝারি ইলিশ ১৪০০ থেকে ১৬০০টাকা, বড় রুই ও কাতল ৪০০-৪৫০ টাকা, বড় তেলা পিয়া মাছ ২৫০ টাকা, চাষের শিং মাছ প্রতি কেজি ৩০০-৪০০ টাকা, কৈ ২৫০-২৭০, পাঙাশ ১৬০-১৮০ টাকা, দেশি শিং ৬০০-৭০০ টাকা, দেশি চিংড়ি (ছোট) ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পলাশে মো: অলিউল্লাহ আহমাদ নামে ক্রেতা জানান, বাজারে ৮০ টাকার নিচে কোনো সবজি নাই। দেশের ম্যাক্সিমাম মানুষের বেতন ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা।
এই স্বল্প টাকা দিয়েত বাজারই করা যাচ্ছে না। সেখানে পরিবারের ঔষধ, ছেলে মেয়ের পড়াশোনা এগুলো কিভাবে বহন করবে।
উপজেলার ডাংগা বাজারে নাজমুল নামে আরেক ক্রেতা জানান, বাজার মনিটরিং না থাকার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ্য থেকে বাজার মনিটরিং করা দরকার।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :