টানা ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরে সৃষ্ট বন্যার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। জেলার পাহাড়ি ৪টি নদীর পানি বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর পানি কমলেও ঢলের পানি যেদিক দিয়ে নেমে যাচ্ছে সে অঞ্চলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
রবিবার বিকেল থেকে সূর্যের দেখা পাওয়া এবং বৃষ্টি কমে যাওয়ায় পানি কমে যাবে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তবে জেলার পাঁচটি উপজেলার বেশীর ভাগ এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে।
চরম দুর্ভোগে পড়েছে প্রায় দুই লাখ মানুষ। নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতীতে বন্যার পানিতে ডুবে দুই সহোদরসহ এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬ জন। নকলার উরফা ইউননিয়নের কুড়েরকান্দায় বন্যার পানিতে থাকা বিদ্যুতের তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মোক্তার আলী (৫০) মারা গেছে, একই উপজেলার গনপদ্দির গজারিয়া বন্যার পানিতে ডুবে আঃ রাজ্জাক নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বন্যায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
৬ সেপ্টেম্বর সকাল ৯ টায় শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জেলার ভোগাই নদীর পানি ৫৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং চেল্লাখালীর ৫৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়াও অপর দুটি পাহাড়ি নদী মহারশি ও সোমেশ্বরীর পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।এদিকে ব্রহ্মপুত্র, মৃগী ও দশানী নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও বিপদসীমার অনেক নীচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। জেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ পর্যন্ত জেলার সাড়ে পয়ত্রিশ হাজার হেক্টর জমির আমন ধানের আবাদ পানিতে তলিয়ে গেছে। সাড়ে নয়শ হেক্টর জমির সবজির আবাদ পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :