ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে বিনা কর্তৃক উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ও স্বল্প জীবনকালীন আগাম আমন ধানের জাত বিনাধান-১৭ এর নমুনা শস্য কর্তন ও কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার দুপুরে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের হরিণমারী নয়াপাড়া গ্রামে এ শস্য কর্তন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিট (বিনা) রংপুর উপকেন্দ্র কার্যালয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আলী।
বাংলাদেশ পরমনু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর আয়োজনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযাগিতায় শষ্য কর্তন কার্যক্রম ও কৃষক মাঠ দিবসে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন সোহেল, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান, বুরহান উদ্দীন প্রমুখ এতে বক্তব্য দেন। এ সময় স্থানীয়রা কৃষক-কৃষানীরা উপস্থিত ছিলেন।
রংপুর বিনা উপকেন্দ্র কার্যালয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আলী বলেন, বিনাধান-১৭ বীজতলা থেকে ধান কেটে ফসল ঘরে তুলতে মাত্র ১০৫-১১০ দিন সময় লাগে। যা অন্যান্য আমন ধানের তুলনায় ১ মাস কম। এ ধান উৎপাদন করলে কৃষকরা খুব সহজেই আমন এবং বোরো ধানের মধ্যবর্তী সময়ে আগাম জাতের আলু ও সরিষার আবাদ করতে পারবে।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ সোহেল বলেন, চলতি বছর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে বিনাধান-১৭ এর বীজ ও সার কৃষকদের নিকট বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়েছে।
কৃষক সহেদ আলী অন্যান্য চাষীরা বলেন, বিনাধান-১৭ প্রতি বিঘায় ২০-২২ মণ ফলন পাওয়া যায়। অল্প সময় জীবনকাল হওয়ার ফলে আমন কেটে একই জমিতে আলু অথবা সরিষা আবাদের পর বোরো চাষ করা যাবে। এই ধান আবাদ করলে এক কথায় এক জমিতে বছরে ৪টি ফসল উৎপাদন সম্ভব।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :